1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুলিশি অভিযান

৫ জুন ২০১৯

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (এবিসির) প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে৷ 

https://p.dw.com/p/3Jrdm
Australien ABC Hauptsitz in Sydney
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan

তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি৷

এদিকে পুলিশের অভিযানের বিষয়টিকে সহজভাবে দেখছে না চ্যানেল কর্তৃপক্ষ৷ তারা বলছে, এভাবে একটি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ‘অগ্রহনযোগ্য'৷ 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,  টেলিভিশনটি ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারা আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল৷ প্রতিবেদনটিতে মূলত দেশটির সেনাবাহিনী থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছিল৷ এ  প্রতিবেদনের প্রক্ষিতে, বুধবার টেলিভিশন চ্যানেলটিতে অভিযান চালায় পুলিশ৷

পুলিশের অভিযানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এন্ডারসন  বলেন, এটি স্বাধীন মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে৷ পুলিশের এ অভিযান দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে জনগনের কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টিকেও উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে৷

তার আগে গত মঙ্গলবার, অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ সানডে টেলিগ্রাফ-এর প্রতিনিধি আনিকা স্মেথুর্স্ট-এর ক্যানবেরার বাড়িতে অভিযান চালায়৷ জনগণের উপর সরকারি বাহিনীর নজরদারির বিষয়ে ২০১৮ সালে সানডে টেলিগ্রাফে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন আনিকা৷

সংবাদমাধ্যমের উপর আঘাত

পুলিশের এ অভিযানকে স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর আঘাত হিসেবে দেখছে দেশটির গণমাধ্যমকর্মীরা৷ অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড আর্টস অ্যালায়েন্স ইউনিয়ন জানায়, সাংবাদিকদের বাসায় ও কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের বিষয়টি এখন সাধারণ ঘটনায় পরিনত হয়েছে৷ এ সকল ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে যে, কেউ সত্য প্রকাশ করে সরকারকে বিব্রত করলে পুলিশ এসে তার দরজায় কড়া নাড়বে৷ এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার দাবিও জানায় তারা৷

 রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে অভিযানের ঘটনাকে ‘পুলিশের বিষয়' বলে এড়িয়ে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷

আরআর/কেএম (এপি, এফপি)    

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য