1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের বিরুদ্ধে ‘স্পট ফিক্সিং’ এর অভিযোগ

১ মার্চ ২০১১

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অস্ট্রেলিয়া বনাম জিম্বাবোয়ের খেলায় ‘স্পট ফিক্সিং’ হয়েছে এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি৷ অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ৷

https://p.dw.com/p/10R3Q
অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবোয়ে ম্যাচের একটি মুহুর্তছবি: AP

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১১-তে ম্যাচ কারসাজির এই প্রথম অভিযোগটি এসেছে ভারতের আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া বনাম জিম্বাবোয়ের খেলায়৷ অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার শেন ওয়ার্টসন এবং ব্রাড হাডিন ব্যাট হাতে মাঠে নামেন৷ ১১ ওভারে এই দুই খেলোয়াড় রান করেন মাত্র ২৮৷ আর ১৫ ওভারে ৫৩৷ প্রথম ১০ ওভারে তাঁরা খুবই ধীরে খেলেছেন৷ এতোটা ধীরে খেলার কারণেই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে আইসিসির অ্যান্ট্রি করাপসন এন্ড সিকিউরিটি ইউনিটের৷ ফলে তারা নেমে পড়েছেন এর তত্ত্বতালাশে৷ এই খেলায় অবশ্য জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া৷

অস্ট্রেলিয়ার কোচ টিম নিলসন স্পট ফিক্সিং এর এই অভিযোগ মানতে মোটেই রাজি নন৷ তিনি বলেছেন, ‘ওয়ার্টসন এবং হাডিন খেলার জন্য সেই সময়ে যা প্রয়োজন ছিল তাই করেছে৷' তাঁর দাবি, সামগ্রিক ম্যাচে ভালো খেলেছে তার ছেলেরা৷ তিনি বলেন, ‘ঐ ম্যাচে জিম্বাবোয়ে প্রথম দিকে আক্রমণ চালিয়েছে স্পিনারদের দিয়ে৷ আর এই স্পিনারদের মারমুখী বলে যে কোন সময় যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারতো৷ তাই স্পিনারদের ওভারগুলোতে দেখে শুনে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছেন ঐ দুই জন৷ তাদের ঐ খেলা দেখে মনে হতে পারে ধীরে খেলেছেন তাঁরা, আসলে তা নয়৷ সময়ের প্রয়োজনে তাঁরা নিজেদের যা খেলা দরকার সেটিই খেলেছেন৷ আমি মনে করি এটাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত৷'

ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট ক্যাপ্টেন রশিদ লতিফ এই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে বাজি ধরে যারা তাদের জন্য বিশ্বকাপের খেলায়, বিশেষ করে গ্রুপ ভিত্তিক খেলাগুলোয় এক ধরণের সুবিধাই সৃষ্টি হয়েছে৷

স্পট ফিক্সিং এর মানে এই যে পুরো খেলায় নয়, খেলার কিছু সময় বা ওভারের চেহারা পাল্টে দেয়া৷ আর তা অবশ্যই হয় এই জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগসাজশে, অর্থের বিনিময়ে৷ এর আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড় মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমেরের বিরুদ্ধে এ ধরণের খেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাদের ইংল্যান্ড সফরকালে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক