জার্মানির সঙ্গে গভীরতর সম্পর্কে আগ্রহী অস্ট্রিয়ার কুর্ৎস
১৮ ডিসেম্বর ২০১৭অস্ট্রিয়ার নতুন রক্ষণশীল-দক্ষিণপন্থি জোট সরকার জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে চান, বলে মনোনীত চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস সোমবার মন্তব্য করেছেন৷
‘‘আমরা বহু ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে জার্মানির সঙ্গে আবদ্ধ,'' ৩১-বছর-বয়সি কুর্ৎস জার্মানির ‘বিল্ড' পত্রিকাকে বলেন৷
কুর্ৎস আজ সোমবার চ্যান্সেলর হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন৷ সপ্তাহান্তে তাঁর মধ্যম-দক্ষিণপন্থি জনতা দল (ওভিপি) দক্ষিণপন্থি স্বাধীনতা দল (এফপিও)-র সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চুক্তি করে৷
অস্ট্রিয়ায় দক্ষিণপন্থি প্রবণতার ফলে দেশটির নতুন সরকার যে ব্রাসেলসের সঙ্গে কি ধরণের আচরণ করবে, সে বিষয়ে ইইউ পর্যায়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে৷
অভিবাসন প্রসঙ্গে কুর্ৎসের কড়া মনোভাব জার্মানি ও ব্রাসেলসের সঙ্গে অস্টিয়ার সম্পর্কের উপর চাপ ফেলতে পারে, বলে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, কুর্ৎস তা দূর করার চেষ্টা করেছেন৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কুর্ৎস একাধিকবার বার্লিনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন – তাঁর জোট সহযোগী এফপিও দলের নেতা হাইনৎস-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাখে একবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে ‘‘ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক মহিলা'' বলে অভিহিত করেছেন৷
‘‘আমি জার্মান সরকার ও বিশেষ করে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে উত্তরোত্তর সহযোগিতা – বিশেষ করে আমাদের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীরতর করার আশা করছি এবং তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরেও,'' বলে কুর্ৎস ঘোষণা করেছেন৷
ভিয়েনার নতুন সরকার জার্মানিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷ ম্যার্কেলের রক্ষণশীল বাভেরীয় সহযোগী সিএসইউ দল ইতিবাচক মন্তব্য করেছে৷ ‘‘সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস আসায় বাভেরিয়া ও জার্মানি ইউরোপে আরো একজন মিত্র পেল,'' বুন্ডেস্টাগে দলের সংদীয় গোষ্ঠীর নেতা আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ট ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকাকে বলেছেন৷
সিএসইউ জার্মানিতে আরো কড়া অভিবাসন নীতির দাবিতে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের উপর চাপ দিয়ে চলেছে৷ সিএসইউ দল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত করার ও উদ্বাস্তুদের স্বদেশ থেকে পরিবারবর্গকে জার্মানিতে নিয়ে আসার উপর বাধানিষেধ আরোপ করার সপক্ষে৷
কিন্তু সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল অস্ট্রিয়ার দক্ষিণপন্থি প্রবণতায়, বিশেষ করে সামাজিক গণতন্ত্রীরা ভিয়েনায় ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ফলে শঙ্কিত৷
এসপিডি দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর উপসভাপতি আখিম পোস্ট ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকাকে বলেছেন যে, কুর্ৎস ও স্ট্রাখের মনোভাব হাঙ্গেরির ভিক্টর অর্বানের দৃষ্টিভঙ্গির অনুরূপ, অভিবাসন নীতির উপর যার প্রভাব পড়তে বাধ্য৷
এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)