1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অসুস্থদের হাসপাতালে অবরুদ্ধ করুন’

১০ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশ যে কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা কেউ যথাযথভাবে আমলে নিচ্ছে না৷ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতি ও সমন্বয়েও ঘাটতি রয়েছে, এমনটাই মনে করেন দেশের দুজন বিশিষ্ট চিকিৎসক৷

https://p.dw.com/p/3al0t
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টক শো-তে যোগ দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালগুলোর ৫০ ভাগেরই ভেন্টিলেটর বা কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসযন্ত্র চলমান নয়৷ দ্রুত সেগুলোকে সচল করার উদ্যোগ নিতে হবে৷ নিশ্চিত করতে হবে অক্সিজেন সরবরাহ৷ পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর চালানোর মতো প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ জাফরুল্লাহ বলেন, ‘‘দেখা যাবে, ভেন্টিলেটর থাকবে, অক্সিজেন থাকবে, কিন্তু (রোগীর শরীরে) পাইপ ঢুকানোর লোক থাকবে না৷’’

তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা৷ এজন্য প্রচুর পরীক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে৷ 

দেশের যত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে সবগুলোতে ‘ফিভার ইউনিট’ খোলার পরামর্শ দেন তিনি, যাতে কেউ জ্বর-সর্দি নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরে না থাকে৷ তিনি বলেন, ‘‘ সব হাসপাতালগুলোর শয্যা খালি৷ বেসরকারি হাসপাতালের শয্যাও খালি৷ সারা বাংলাদেশ অবরুদ্ধ না করে যারা অসুস্থ তাদেরকে অবরুদ্ধ করাই হবে আমাদের এক নাম্বার কাজ৷ এটা না করলে আমরা ভুল করব৷’’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, দেশের চিকিৎসকরা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতি ও সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে৷ তার মতে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মানুষকে ঘরে আটকে রাখার বিকল্প নেই৷

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট চলতি মাসের মধ্যেই প্রস্তুত হবে৷ অনুমোদন পাওয়া গেলে শিগগিরই এক লাখ কিট সরকারকে সরবরাহ করবেন তারা৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য