অসুস্থ শিশুর জন্য ‘বই’ প্রায় ওষুধের মতোই উপকারী
শিশুরা মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ আপনার আদরের সন্তানটি অসুস্থ হলে ওর পাশে শুয়ে পছন্দের বই পড়ে শোনান৷ দেখবেন, বই-এ ওষুধের মতো কাজ হচ্ছে৷
প্রয়োজন মানসিক সাপোর্ট
আমরা জানি, একজন রোগীর সুস্থ হওয়ার জন্য শুধু ওষুধই যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে যদি সে শিশু হয়ে থাকে৷ তার প্রয়োজন মানসিক সাপোর্ট , চাই মা- বাবার সঙ্গ৷ আর তাই শিশুকে সঙ্গ দিতে বই পড়ে শোনানোর মতো ভালো মাধ্যম বোধহয় আর কিছু নেই৷
ভয় দূর করে
ছড়া, রূপকথার গল্প, প্রকৃত তথ্য, জীব-জন্তুর জীবন, বাস্তব কাহিনি, হাসির গল্পের মতো নানা বিষয়ে লেখা বইগুলো শিশুদের পড়ে শোনান৷ তখন ওরা নিজের অসুখের কথা সহজে ভুলে যেতে পারবে এবং ওদের ভেতরের ভয়ও দূর হয়ে যাবে মনের অজান্তেই৷
পছন্দ জানাতে পারে
তাছাড়া বইয়ের কোন বিষয় বা কী বই নিজের সন্তানের কাছে ভালো লাগে সেটাও এর মধ্য দিয়ে মা-বাবার জানা হয়ে যাবে৷ অসুস্থ অবস্থায় শিশু মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকায় সহজে তার পছন্দের কথা বাবা-মা বা বড় ভাই অথবা বোনকে বলতে পেরে ভালো বোধ করবে৷
ছবির বই
অসুস্থ শিশুকে বই পড়ে শোনানোর মানে কিন্তু সিরিয়াস বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে না, শিশুর মানসিক দিকটার কথা বোঝানো হচ্ছে৷ আজকের এই যান্ত্রিক জীবনে যেমন ব্যস্ত মা-বাবা, তেমনি ব্যস্ত থাকতে হয় শিশুদেরও৷ আর এক্ষেত্রে বই পড়ে শিশুকে পারিবারিক বন্ধনের গভীরতা বোঝানোর মধ্য দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলা যায়৷
শিশুকে খেতে আগ্রহী করে
প্রতিটি শিশুকেই বড় হওয়া পর্যন্ত নানা অসুখে পড়তে হয়৷ অসুখের সময় শিশুরা খেতে চায় না৷ তবে ছবিসহ ‘শিশুস্বাস্থ্য’ বিষয়ক বই পড়ে শোনালে যেমন শিশুটি খেতে আগ্রহী হবে, তেমনি স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কেও জানবে এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে৷
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে
জার্মানিতে অসুস্থ শিশুর কিন্ডার গার্টেন বা স্কুলে যেতে নিষেধ থাকায় শিশু ঘরেই থাকে৷ ফলে এ সময়ে ওর হাতে বই তুলে দিলে ওর একাকিত্ব যেমন কাটে, তেমনি নিজে থেকে বই পড়ার অভ্যাসও গড়ে ওঠে৷ জার্মানির ‘রিডিং ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান টিনা জাইবার্টের দেওয়া এই তথ্য প্রকাশ করেছে একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন৷