1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসম অধিকারের জন্য লড়ছে সৌদি আরবের নারীরা

৬ অক্টোবর ২০১০

বিশ্বের সবদেশের নারীরা সমান অধিকারের জন্য যেখানে লড়াই করে চলছে, সেখানে ব্যতিক্রম কেবল সৌদি আরবের নারীরা৷ সেখানকার কিছু নারী আন্দোলনে নেমেছে পুরুষদের সঙ্গে অসমতা বজায় রাখার জন্য৷

https://p.dw.com/p/PWM2
অধিকার পাবেন কি এসব নারী?ছবি: AP

আন্দোলনের নাম ‘মাই গার্ডিয়ান নোজ বেস্ট ফর মি'৷ এর মাধ্যমে পুরুষদের অভিভাবকত্বের অধিকারকে ধরে রাখতে চান সৌদি আরবের নারীরা৷ গত বছর জেড্ডার রওদা আল-ইউসুফ এই আন্দোলনের সূচনা করেন৷ এখন এই আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা কয়েক হাজার এবং এর নিজস্ব ওয়েবসাইটও আছে৷

‘‘আমার খুব দুঃখ লাগে, যখন দেখি অল্পসংখ্যক নারী আছেন, যারা তথাকথিত নারী মুক্তির কথা বলেন, যা ইসলামী শরীয়াহ কিংবা আরবের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে সমর্থন করেনা৷'' একথা বলেন আল-ইউসুফ, যার দাদা সোমালিয়া থেকে এসেছিলেন সৌদি আরবে৷

Islam, Internet, Männer sitzen vor einem Computer in einem Internetcafe
অনেক ছোট বেলা থেকেই এরা মায়ের, বোনের এবং মেয়ের অভিভাবকছবি: AP

সৌদি আরবের নারীদের ভোট কিংবা গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়না৷ অবিবাহিত মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হলে বা বিয়ে করতে হলে অনুমতি নিতে হয় বাবার কাছ থেকে৷ অন্যদিকে বিবাহিত নারীদের অভিভাবক তাঁদের স্বামী৷ আবার কোনো অবিবাহিত মেয়ের বাবা যদি মারা যান, তাহলে তাঁর ভাই কিংবা চাচা অভিভাবকের দায়িত্ব ঘাড়ে নেন৷ এমনকি একজন নারী কাজ করতে পারবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্তও আসে পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে৷ বয়স যদি পঁয়তাল্লিশের ওপরেও হয়, তিনি যদি বাইরে বেড়াতে যেতে চান বা ভ্রমণে যেতে চান, তাঁকে অবশ্যই আগে পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়৷

আল-ইউসুফ পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান করতে চান৷ অদূর ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে একটা প্রামাণ্য চিত্রও নির্মাণ করতে চান তিনি৷ তাঁর এই আন্দোলনের একজন সমর্থক হচ্ছেন সৌদি রাজ পরিবারের নারী সদস্য প্রিন্সেস আবদুল্লাহ বিন্ত জালাউয়ি আল-সৌদ৷

তবে আল-ইউসুফের এই প্রচারণার বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরবের নারীবাদীদের ছোট্ট দলটি, যারা পুরুষ অভিভাবকত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চায়৷ এই দলের মধ্যে আছেন লেখিকা ও সাংবাদিক ওয়াজেহা আল-হায়দার৷ গত জুন মাসে আল-হায়দার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা'র কাছে একটি খোলা চিঠি লেখেন৷ সেই চিঠিতে তিনি ওবামাকে বাদশা আবদুল্লাহ'র সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাতকালে সৌদি আরবের মেয়েদের পুরুষ দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করার জন্য আবেদন জানান৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন