1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক খাত

১ আগস্ট ২০১২

ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে কোনো শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা করছে না তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ৷ যদিও তাদের কথায়, প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র তিন থেকে চারশ’ গার্মেন্টস ঝুঁকিপূর্ণ৷

https://p.dw.com/p/15hCK
ছবি: AP

প্রাপ্য বেতন না পাওয়ায় গত দু'দিন আগে রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন গাজীপুরে অবস্থিত শ্রীপুরের গোল্ড লাইন গার্মেন্টের আড়াই শ্রমিক৷ মালিক পালিয়ে যাওয়ায় গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কারখানাটি৷ এই সময় তারা কোনো বেতন পাননি৷ নতুন একজন কারখানাটি কিনতে চাইলেও শ্রমিকদের পাওনা দিতে রাজি হচ্ছেন না৷ পরে বিজিএমইএ'র মধ্যস্থতায় ঈদ উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের এক মাসের বেতন পরিশোধের বিষয়টি ঠিক হয়৷ বলা হয়, ঈদের পর কেউ কারখানাটি কিনলে তখন শ্রমিকদের অন্য দেনা-পাওনা নিয়ে আলোচনা হবে৷

তবে এতে সাময়িক সমাধান হলেও ক্ষোভ কমেনি শ্রমিকদের৷ তাদের দাবি, যে অঙ্গীকারনামা লেখা হয়েছে তাতে বকেয়া বেতনের ব্যাপারে শ্রমিকরা কিছু বলতে পারবেন না৷ যা তারা মেনে নিতে পারছেন না৷

ঈদকে সামনে রেখে এই ধরনের ছোট ছোট অসন্তোষ পরিণত হয় বড় ধরনের অসন্তোষে৷ কয়েকদিন আগেও গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এমন আশঙ্কার কথা বলেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন৷ তিনি সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন৷ সময়মত বেতন ভাতা আর বোনাস না পেলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেন শ্রমিক নেতারা৷ আর দু-একটি কারখানার কারণে পুরো সেক্টরই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের৷

তবে ঈদের আগে বড় ধরনের কোনো অসন্তোষের আশঙ্কা করছেন না বিজিএমইএ'র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ কারখানাই তাদের ও সরকারের নজরদারির মধ্যে রয়েছে৷ তাছাড়া সংগঠনের সকল সদস্যকে ঈদের আগেই বেতন ভাতা পরিশোধ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷ শ্রমিকরা নির্বিঘ্নে বাড়ি গিয়ে ঈদ করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি৷

সময়মত শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে ব্যাংকগুলোরও সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ'র এই নেতা৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য