অর্ধ শতক পর মঙ্গোলিয়ায় ফিরছে পবিত্র ঘোড়া ‘টাখি’
এক সময় মঙ্গোলিয়ায় পালে পালে ঘুরে বেড়াতো ‘প্রেভালস্কি’স হর্স’ নামের বন্য ঘোড়া৷ তবে সময়ের বিবর্তনে এই সংখ্যা কমতে থাকে৷ অর্ধ শতাব্দী পূর্বে তা একেবারেই হারিয়ে যায়৷ সম্প্রতি এই প্রাণীকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷
আদিভূমিতে ফিরছে ঘোড়া
মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো এই বন্য ঘোড়াকে মঙ্গোলিয়ানরা ডাকে ‘টাখি’৷ তাদের নিকট এটি ছিল পবিত্র প্রাণী৷ প্রাণীটিকে সম্প্রতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে ‘টাখিন টাল ন্যাশনাল পার্কে’৷ দক্ষিণ-পশ্চিম মঙ্গোলিয়ায় গ্রেট গোবি বি নামে বন্য প্রাণীদের জন্য যে সংরক্ষিত এলাকাটি গড়ে তোলা হয়েছে৷ এটি তাঁরই অংশ৷ টাখিকে সেই আদিভূমিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷
চেক রিপাবলিকে বসত
আদিভূমি মঙ্গোলিয়া থেকে হারিয়ে গেলেও চেক রিপাবলিকের বিভিন্ন জায়গায় বসত ছিল৷ দেশটির টাবোর শহরের নিকটবর্তী ডোলনি ডোব্রেজোভ গ্রামে এই ঘোড়াগুলোকে চরে বেড়াচ্ছে৷
উড়িয়ে আনা হয়েছে প্রাগ থেকে
আদিভূমিতে এই প্রাণীকে ফিরিয়ে আনতে ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে৷ এবার আর চিড়িয়াখানার ছোট জায়গায় নয়৷ তারা বাস করবে, বিশাল বিস্তৃত পার্কের খোলা ময়দানে৷ চেক রিপাবলিকের প্রাগ চিড়িয়াখানা থেকে এদেরকে বিমানে চড়িয়ে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে৷
বাক্সবন্দি যাত্রা
যদিও মুক্তভাবে বাঁচার সুযোগ দিতে এই ঘোড়াগুলোকে আনা হচ্ছে৷ তথাপি যাত্রা পথের প্রয়োজনে বড় বড় বাক্সে ঢুকিয়ে তাদেরকে আনা হয়েছে৷
নেয়া হচ্ছে টাখিন পার্কে
কঠোরভাবে সংরক্ষিত গ্রেট গোবি বি-র টাখিন টাল ন্যাশনাল পার্কে ঘোড়াগুলোকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়৷
মুক্ত হয়েই ভোঁ-দৌড়
একটি বাক্সে ঢুকে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তির পর যখন দরজা খুলে দেয়া হয়, তখন যেন শরীরের সব শক্তি একত্রিত করে দৌড় দিচ্ছে এই ঘোড়াটি৷
ভোরের নরম রোদে স্বাধীনতার সুখ
তখন পুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য মামা৷ জানান দিচ্ছে নতুন দিনের৷ নরম আলোর পরশ নিতে নিতে বন্য ঘোড়গুলো চরে বেড়াচ্ছে টাখিন টাল ন্যাশনাল পার্কে৷