1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনীতির নোবেল পেলেন দুই মার্কিনি আর ব্রিটিশ-সাইপ্রিয়ট অর্থনীতিবিদ

১১ অক্টোবর ২০১০

গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা’র স্থবিরতা কিন্তু এখনো কাটেনি৷ দীর্ঘ এই মন্দা রীতিমত বিপর্যস্ত করে দিয়েছে মার্কিন মুলুক সহ ইউরোপকে৷

https://p.dw.com/p/PbKU
অর্থনীতিতে নোবেল ঘোষণা করা হচ্ছে, পর্দায় তিন বিজয়ীকে দেখা যাচ্ছেছবি: AP

চমৎকৃত হবার বিষয়ই বটে, এই সোমবার অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য যারা ২০১০ এর নোবেল পেয়েছেন তাঁদের গবেষণার বিষয়বস্তুও ছিল বাণিজ্য-নীতি আর নিয়ম-কানুন কিভাবে বেকারত্ব, কর্মহীনতা এবং বেতনের ওপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডায়মন্ড ও ডেল মর্টেনসেন এবং ব্রিটিশ-সাইপ্রিয়ট নাগরিক ক্রিস্টোফার পিসারাইডস অর্থনীতিতে এবারের এই নোবেল পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিলেন৷ সোমবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সাইন্স জানিয়েছে, বেকারত্ব, কর্মহীনতা আর বেতন-ভাতার ওপর নিয়ম-নীতির প্রভাব নিয়ে তাঁদের এই সমকালীন এবং গুরুত্ববহ অনুসন্ধিৎসু গবেষণার কারণেই ২০১০ সালে অর্থনীতির জন্য নির্ধারিত নোবেলটি তাঁরা পেয়েছেন৷

নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে ডায়মন্ড হচ্ছেন বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিট্যুট অফ টেকনলজির অর্থনীতিবিদ, এছাড়াও তিনি সামাজিক নিরাপত্তা, পেনসন আর কর সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিদগ্ধজন৷ এদিকে মর্টেনসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়-এর নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপনা করেন আর যুক্তরাজ্যের পক্ষে নোবেলের ভাগিদার ক্রিস্টোফার পিসারাইডস লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকস এর অধ্যাপক৷

Superteaser NO FLASH Schweden USA Großbritannien Nobelpreis 2010 Wirtschaft
নোবেল জয়ী তিন অর্থনীতিবিদছবি: picture alliance/dpa

নোবেল পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা তাঁদের এই গবেষণায় বেকারত্ব, কর্মহীনতা আর বেতন-ভাতা ও বাজারে বিক্রি এবং ক্রয়ের যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে তার ওপর নিয়ম-নীতির প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন৷ সাধারণত বাজারের হিসেবে ভোক্তা, ক্রেতা এবং বিক্রেতারা খুব দ্রুত এবং অনায়াসে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন বা পরস্পরের কাছে পৌঁছাতে পারেন, আর বাজারের প্রয়োজনীয় সব ধরণের তথ্য এবং দ্রব্যমূল্য সম্পর্কেও তারা সঠিক তথ্য খুঁজে পান ৷ কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি ঠিক এমনটি ঘটে না৷

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই ত্রয়ী অর্থনীতিবিদের গবেষণাকর্ম বাজারে চাহিদা বা প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও কিছু বিক্রেতা এবং ক্রেতা কেন তাদের চাহিদানুযায়ী বাজার পান না সেটি বুঝতে এবং বাজারের খোঁজ-খবর সম্পর্কেও একটি সার্বিক ধারণা পেতে সহায়ক হবে৷

তাঁদের এই গবেষণার ফলে এখন যেমন একজন ক্রেতা এবং একটি পণ্য বিক্রেতার পারস্পারিক অর্থনীতির বিষয়টি অনুধাবন করা যাবে তেমনি প্রতিষ্ঠান এবং সরবরাহকারীদের বা চাকরিদাতা আর চাকরি প্রার্থীদের মধ্যকার জটিলতর পরিস্থিতি সম্পর্কেও স্পষ্ট একটি ধারণা মিলবে৷ জানা গেছে তাঁদের এই গবেষণা মডেলটি গৃহায়ন বা গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত বাজারের ধারণাটিও পাওয়া যাবে৷ বিশ্ব অর্থনীতির নাড়ির স্পন্দনটি আদতে এই ত্রয়ী অর্থনীতিবিদ অনুভব করতে পেরেছেন৷ যা একইসঙ্গে সমসাময়িক এবং গুরুত্ববহ৷

উল্লেখ্য, অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য যে নোবেল পুরস্কারটি দেওয়া হয়ে থাকে সেই নোবেল পুরস্কারটি কিন্তু আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছানুযায়ী নোবেল তালিকায় একটি নতুন সংযুক্তি৷ ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আলফ্রেড নোবেলে স্মরণে অর্থনীতির এই নোবেলটি চালু করে৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক