1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থ সহায়তা বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

২১ ডিসেম্বর ২০১৭

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আজ বৃহস্পতিবার জেরুসালেম নিয়ে ভোট হবে৷ এতে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা থেকে তাঁকে সরে আসার অনুরোধ জানানো হবে৷

https://p.dw.com/p/2pkhn
US-Präsident Donald Trump gibt Ausführungen zur Nationalen Sicherheitsstrategie der Regierung im Ronald Reagan Building und International Trade Center in Washington D.C.
ছবি: Reuters/C.Barria

সম্প্রতি জেরুসালমকে রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের ঘোষণাও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হয়েছে৷

এর আগে সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল মিশর৷ প্রস্তাবে ট্রাম্পকে তাঁর সিদ্ধান্ত বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছিল৷ তবে ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা পাস করা যায়নি৷

এরপর ফিলিস্তিন ও তাদের সমর্থক আরব রাষ্ট্রগুলো সাধারণ পরিষদে একটি জরুরি অধিবেশন আয়োজনের আবেদন করে৷ আজ বৃহস্পতিবার সেটি অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে একইরকম প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ তার আগে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি ১৯৩ সদস্যরাষ্ট্রের অধিকাংশকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷ চিঠিতে বলা হয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দেবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া হবে৷ একটি টুইটেও তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন৷ টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন তিনি৷ ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমাদের বিপক্ষে ভোট দিতে দাও৷ আমরা অনেক বাঁচাবো৷''

বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শুরুর আগে নিকি হ্যালিকে পাশে বসিয়ে তাঁর কাজের প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ জাতিসংঘে ভোটের আগে হ্যালি সবার কাছে ‘সঠিক বার্তা' পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তারা (বিভিন্ন দেশ) আমাদের অর্থ নেয়, এবং তারপর আমাদের বিপক্ষে ভোট দেয়৷ তারা শত শত মিলিয়ন ডলার, এমনকি বিলিয়ন ডলার নেয়, এবং তারপর আমাদের বিপক্ষে ভোট দেয়৷ আমরা এই ভোটের দিকে নজর রাখছি৷ তাদের আমাদের বিপক্ষে ভোট দিতে দেন৷ আমরা অনেক (অর্থ) বাঁচাবো৷ আমরা পরোয়া করিনা৷''

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ‘কাউন্সিল অন অ্যামেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স' এর জাতীয় নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ টুইট করে বলেছেন, ‘‘জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য দেশ, যারা জেরুসালেমের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের সমর্থক, তাদের ব্ল্যাকমেল করা আমাদের সরকারের উচিত হবে না৷ খ্রিষ্টান, ইহুদি ও ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হলো ন্যায়বিচার৷''

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসল যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছেন৷ তাঁরা আশা করছেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো হ্যালির ‘চাপ' উপেক্ষা করবে৷ এবং বিবেক অনুযায়ী কাজ করবে৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি)