অর্থ চেয়ে ফেঁসে গেলেন ফিফার নির্বাহী সদস্যদের ক'জন
১৮ নভেম্বর ২০১০ফিফা'র আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগেই তাঁদের এই শাস্তি বলে খবরে প্রকাশ৷
বৃহস্পতিবার সুরিশে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফিফা'র আচরণবিধি বিষয়ক কমিটির প্রধান ক্লাউডিও সুলসার বলেন, আচরণবিধি বিষয়ক কমিটির তদন্তের পর আমস আডামু এবং রেনাল্ড টেমারির বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া নির্বাহী পরিষদের সাবেক আরো চার সদস্যের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা৷ তিন বছরের জন্য যে কোন ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞা আডামুর বিরুদ্ধে৷ সাথে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, যা ১০,১৩০ ডলারের সমান৷ আর টেমারিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এক বছরের জন্য৷ তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে পাঁচ হাজার সুইশ ফ্রাঙ্ক৷
বিশ্বকাপ আসর আয়োজনে সমর্থন দেওয়ার জন্য আগ্রহী দেশসমূহের কাছে নাকি অর্থ চেয়েছিলেন এই দুই সদস্য৷ কিন্তু ‘ব্রিটিশ সানডে টাইমস' পত্রিকা গোপনে এই ঘটনার ছবি তুলে প্রকাশ করে দেওয়ার পর ফিফা এই ঘটনার তদন্তে নামে৷ আর তদন্তের পর এমন দণ্ডের বিধান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে৷ তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করতে পারবেন৷
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তির সম্মুখীন অপর চার সাবেক সদস্যের মধ্যে রয়েছেন বৎসোয়ানার ইসমাইল ভামজি, মালি'র আমাদু ডায়াকিট, টোঙ্গা'র আহোঙ্গালু ফুজিমালোহি এবং তিউনিসিয়ার স্লিম আলৌলু৷ আগামী চার বছরের জন্য ফুটবল অঙ্গনের সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হলেন ভামজি৷ ডায়াকিট এবং ফুজিমালোহির বিরুদ্ধে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং আলৌলু নিষিদ্ধ হলেন দুই বছরের জন্য৷ এই চার জনের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার সুইশ ফ্রাঁ করে৷
বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৮ এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক দেশ নির্ধারণে ভোটাভুটিতে অংশ নিবেন ২২ জন সদস্য৷ আগামী ২ ডিসেম্বর সুরিশে অনুষ্ঠিতব্য এই ভোটাভুটিতে ২৪ জনের অংশ গ্রহণের কথা ছিল৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক