1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠালো ইডি

৩১ অক্টোবর ২০২৩

সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জেলে। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালো ইডি।

https://p.dw.com/p/4YDZo
অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালছবি: Narinder Nanu/AFP/Getty Images

মদের দোকানের লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২ নভেম্বর তাকে ইডি-র দপ্তরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে।

গত এপ্রিলে সিবিআই এই একই মামলায় অরবিন্দকে ডেকে পাঠিয়েছিল। যদিও গত বছরের অগাস্ট মাসে তারা যে চার্জশিট দিয়েছিল, সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম ছিল না।

এদিন অরবিন্দকে ইডি সমন পাঠানোর পর আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ''জাতীয় নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের একমাত্র নীতি আম আদমি পার্টিকে ভেঙে দেওয়া। তাই তারা কাউকে ছাড়ছে না।'' অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ঢোকানোর উপায় খুঁজতে গিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন মিথ্যা মামলা সাজাতে হচ্ছে তাদের।

এদিনই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মদের দোকানের লাইসেন্স প্রতারণা মামলায় সিসোদিয়া প্রধান অভিযুক্ত। সব মিলিয়ে ৩৩৮ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা এটি। লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসোদিয়া প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

সুপ্রিম কোর্ট এদিন তাদের বক্তব্য জানানোর পরেই দিল্লির বিজেপি ইউনিট বিবৃতি জারি করে বলেছে, 'এর দায় দিল্লির সরকারকে নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত।'

কর ফাঁকি দিয়ে মদের সংস্থাগুলি যাতে প্রায় ১২ শতাংশ মুনাফা করতে পারে সিসোদিয়া সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে সিবিআই তার চার্জশিটে অভিযোগ করেছে। তারই ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে সেই চার্জশিটে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নাম কোথাও নেই। এবার ইডি কেন কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠালো, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই রাজনীতির অলিন্দে প্রবেশ আম আদমি পার্টির। বিগত কংগ্রেস জামানায় আন্না হাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার অন্যতম সৈনিক ছিলেন কেজরিওয়াল। সেখান থেকেই তার নতুন রাজনৈতিক দল তৈরির সিদ্ধান্ত। তবে বর্তমানে তার দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা দুর্নীতির অভিযোগে হাজতে। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগই এখনো প্রমাণিত হয়নি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)