1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির কাজ শুরু, বিতর্কও

২৮ জানুয়ারি ২০২১

অযোধ্যার ধন্নিপুর গ্রামে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলো। মসজিদ তৈরির জন্য জমি দেয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/3oVxN
অযোধ্যা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুরে মসজিদ হবে। ছবি: Samiratmaj Misha

অযোধ্যায় রামজন্মভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমির উপর গড়ে উঠবে মসজিদ। গত ২৬ জানুয়ারি এই মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হলো। মসজিদের জমি উত্তর প্রদেশের ওয়াকফ বোর্ডের। আর মসজিদ তৈরি করবে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন(আইআইসিএফ) ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকি বলেছেন, ''মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। তাই বলা যেতে পারে মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। নকশা তৈরি হয়ে গেছে। তা অনুমোদনের জন্য গেছে। অর্থ জোগাড়ও চলছে। ২৬ জানুয়ারি গাছও লাগানো হয়েছে।''

আইআইসিএফ যে নকশা তৈরি করেছে, তাতে মসজিদের মূল গম্বুজটি হবে কাচের। বিশাল বাগান থাকবে। থাকবে একটি সুদৃশ্য হাসপাতাল। সেখানে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করানো যাবে। এক হাজার মানুষ যাতে খেতে পারেন, তার ব্যবস্থাও থাকবে। মসজিদ চত্বরে একটি সংগ্রহশালাও থাকতে পারে। ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়া মৌলবী আহমদুল্লাহ শাহের নামে রাখা হতে পারে। 

কিন্তু এই মসজিদকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কোঅর্ডিনেশন কমিটি থেকে শুরু করে অনেক মুসলিম সংগঠনের মত হলো, ইসলাম ও শরিয়ত অনুসারে কোনো মসজিদ বিনিময় করা জমিতে বানানো যায় না। বাবরি মসজিদের বিনিময়ে এই জমি দেয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করছেন।

মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য ও অল ইন্ডিয়া বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কোঅর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক জাফরইয়াব জিলানি জানিয়েছেন, ওই প্রস্তাবিত মসজিদ ওয়াকফ আইনের বিরোধী। কারণ, মসজিদ বা মসজিদের জমি কখনো বদলাবদলি করা যায় না। শরিয়া আইন অনুসারে তা করা অসম্ভব। এজন্যই মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর আগে ওয়াকফ বোর্ডকে জমি না নেয়ার অনুরোধ করেছিল।

কিন্তু আইআইসিএফ ট্রাস্ট এবং ওয়াকফ বোর্ডের বক্তব্য, ধন্নিপুরের জমি মোটেই বদলাবদলি করে পাওয়া নয়। তারা জমির জন্য নয় লাখ ২৪ হাজার টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি উত্তর প্রদেশ সরকারকে দিয়েছেন। আর এই জমি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকার দিয়েছে। ফলে বদলাবদলির প্রশ্ন আসে না।

এই বিতর্ককে আরো উসকে দিয়েছেন এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেছেন, ওই মসজিদ তৈরির জন্য অর্থ দেয়া ও সেখানে নামাজ পড়া হারাম। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের আতহার হুসেন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ''বিশ্বের কোনো জমি হারাম হতে পারে না, এমন কোনো জমি নেই যেখান থেকে নমাজ পড়া যায় না। তাঁর মতে, ওয়েইসি তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুসারে কথা বলেছেন। আমার মনে হয় না, আমাদের হাসপাতাল, যেখানে শয়ে শয়ে মানুষ চিকিৎসা পাবেন, সেটা হারাম।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)