1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিষেকের অফিসে মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রাথমিক শিক্ষক, কলেজ শিক্ষক, নার্স, পুলিশের পর এবার মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।

https://p.dw.com/p/4HRaG
অভিষেকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান মাদ্রাসা শিক্ষকপ্রার্থীরা।
অভিষেকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান মাদ্রাসা শিক্ষকপ্রার্থীরা। ছবি: Satyajit Shaw/DW

মঙ্গলবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো এূবং তৃণমূলের অঘোষিত দুই নম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীরা। থালা বাজিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান।

মাদ্রাসা শিক্ষকপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৪ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালে ফলাফল বের হয়। ২০১৮ সালে এক হাজার পাঁচশ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্যানেল ছাড়াই এই নিয়োগ হয়। তাই তারা প্যানেলে স্বচ্ছতা এনে তাদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। গত জুলাই মাস থেকে তারা সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই সবই সরকারি মাদ্রাসা, যেখানে শিক্ষক নিয়োগ সরকার করে।

তবে এদিন থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরেই প্রচুর পুলিশ ক্যামাক স্ট্রিটে চলে আসে। তারা টেনে-হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল, তারা যোগ্যতামান পাশ করার পরেও কেন তাদের চাকরি হবে না, কেন অন্যরা বেআইনিভাবে চাকরি পাবে?

কোর্টের নির্দেশ

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন জানতে চেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময়, যারা বেনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন, তাদের তালিকা দিতে হবে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে থাকা স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই তালিকা তৈরি করছে।

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা প্রাথমিকে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের পর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১৬ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করবে। তবে রাজ্য সরকার আগে যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের নিয়োগ বাতিলের পক্ষে নয়। আবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার আর ঝুঁকি না নিয়ে দুইটি পরিকল্পনা আদালতের কাছে জমা দিয়েছে।

প্রথম পরিকল্পনা হলো, যারা নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি বহাল থাকবে। প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যারা চাকরি পাননি, তাদের জন্য নতুন পদ তৈরি করা হবে। মেধাতালিকা অনুসারে সেই চাকরি দেয়া হবে। আর দ্বিতীয় পরিকল্পনা হলো, যাদের নিয়োগে বেনিয়ম আছে, তাদের চাকরি বাতিল হবে। তারপর কোর্ট যেমন বলবে সেইভাবে মেধাতলিকার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।

এসএসসির হিসাব হলো, নবম ও দশম শ্রেণিতে ১৮৩ জন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯ জন এবং গ্রুপ সি ও ডি-তে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ম মেনে হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ১৬ হাজার ৩৮৬টি পদের মধ্যে ছয় হাজার ৬৭০টি পদ আগে থেকেই ছিল। নতুন করে বাকি নয় হাজার ৭১৬টি পদ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কর্ম ও শরীরশিক্ষা, গ্রুপ সি ও ডি--সব ধরনের চাকরিই আছে। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে, যেসব চাকরি নিয়ম মেনে হয়নি, সেখানে কেন নিয়োগ বাতিল হবে না? ব্রাত্য বলছেন, আদালতই সবকিছু ঠিক করবে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)