1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন অভিবাসন নীতি

১০ জানুয়ারি ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে অভিবাসনে রাশ টেনে সমর্থকদের বাহবা কুড়ালেও বেআইনি অভিবাসীদের মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ দিতে সার্বিক সংস্কারের জন্য চাপ দিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/2qbbQ
USA | Tausende Menschen protestieren in LA gegen Trumps DACA-Pläne
ড্রিমার্স কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প-বিরোধী মিছিলছবি: Getty Images/David McNew

‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতি যে তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা বার বার প্রমাণ করার চেষ্টা করেন৷ বিশেষ করে অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁর কড়া অবস্থান কারো অজানা নয়৷ একাধিক রাজ্য সরকার ও আদালতের বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি সেই সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করার চেষ্টা ছাড়েন না৷ বেআইনি অভিবাসী শিশুদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তাঁর সেই মনোভাব দেখা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ওবামা প্রশাসন এই কর্মসূচি চালু করেছিল, যার পোশাকি নাম ‘ডাকা' হলেও ‘ড্রিমার্স' নামেই সেটি বেশি পরিচিত৷ প্রায় ৭ লক্ষ তরুণ-তরুণী এর ফলে উপকৃত হয়েছেন৷ এমনকি তাঁদের অনেকে মার্কিন সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছেন৷

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন এই কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে৷ তবে এই কর্মসূচির বিকল্প সৃষ্টি করতে ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন৷

মঙ্গলবার সান ফ্রানসিস্কো শহরের এক আদালত বেআইনি অভিবাসী শিশুদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি বাতিল করার ফেডারেল সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে আপাতত বাধা সৃষ্টি করেছে৷ বিচারপতি উইলিয়াম অ্যালসাপ তাঁর রায়ে গোটা দেশে ‘ডাকা' কর্মসূচি আবার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তাঁর রায় অনুযায়ী, এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায়ের আগে কোনো রদবদল চলবে না৷ মঙ্গলবারই ট্রাম্প রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের সংসদ সদস্যদের উপর ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচি নিয়ে বোঝাপড়ার জন্য চাপ দিয়েছেন৷ তিনি বেআইনি অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে সার্বিক এক সমাধানসূত্রে সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ তবে এর বদলে তিনি বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের কাছ থেকে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার প্রশ্নে সমর্থন চাইছেন৷ বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাদের সম্মতি আশা করছেন ট্রাম্প৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ নথিবিহীন অভিবাসী বসবাস করেন৷ তাদের মার্কিন নাগরিকত্ব নেবার সুযোগ করে দিতে এক সার্বিক কর্মসূচি নিয়ে বহুকাল ধরে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ ট্রাম্প নিজে এবার এমন এক আইন প্রণয়নের উপর জোর দিচ্ছেন৷ তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এমন এক প্রচেষ্টাকে যে ভালো চোখে দেখবেন না, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)