1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবৈধভাবে বন উজাড়

৯ মে ২০১৫

আগে বলা হত গাছপালা কাটলে পরিবেশের ক্ষতি হয়৷ জলবায়ু পরিবর্তনেও সেটা ভূমিকা রাখে৷ এখনও কথাটি শতভাগ ঠিক৷ শুধু এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মানবাধিকার সংকট৷

https://p.dw.com/p/1FMJR
Baumwurzel
ছবি: Colourbox

কারণ অবৈধভাবে যারা গাছ কাটে, তারা সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার সহ অন্যান্য শক্তিশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে৷ ফলে অনেকটা বিনা বাধায় কাজটি করতে পারে তারা৷ কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে যতটা সম্ভব বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে লড়ছে এসব সংস্থা৷ এই কাজের সঙ্গে বন ও তার নিকটে বসবাসকারীদের যুক্ত করছে তারা৷ কিন্তু এভাবে কাজে বাধা পাওয়ায় অবৈধভাবে যারা বন ধ্বংস করছে তারা বাধা কাটাতে মানুষ হত্যার মতো কাজও করছে বলে জানা গেছে৷

মার্কিন ফ্রিল্যান্স লেখক আলেক্সান্ডার জাইটচিক মনে করেন, অবৈধভাবে বন ধ্বংস একসময় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হুমকিস্বরূপ হলেও দিন দিন সেটা একটি মানবিক সংকটে পরিণত হচ্ছে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর এক প্রবন্ধে তিনি গত সেপ্টেম্বরে পেরুতে দুর্বৃত্তদের হাতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন৷ আমাজন রেনফরেস্টে অবৈধভাবে গাছ কাটার সঙ্গে যারা জড়িত তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ৷ কারণ অবৈধভাবে গাছ কাটা বন্ধ করার কার্যক্রমের সঙ্গে নিহতরা বেশ কয়েক বছর ধরে জড়িত ছিলেন৷ এবং এ কাজ বন্ধ না করলে তাদের মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছিল৷ এভাবে ২০০২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত এশিয়া ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ জনকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে বলে জাইটচিক তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন৷ হত্যা ছাড়াও অবৈধ বন ধ্বংসকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বন এলাকায় বাস করা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন৷

জাইটচিক বলেন, ফার্নিচার তৈরির কাজে ব্যবহৃত ভারী ও টেকসই কাঠের মূল্য গত ১০ বছরে দ্বিগুন হয়েছে৷ এছাড়া দিন দিন এই কাঠের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অবৈধভাবে গাছ কাটার পরিমাণ বেড়েই চলেছে৷ আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দি এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন অ্যাজেন্সি'-র মতে, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পেরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যত কাঠ রপ্তানি হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশের বেশি অংশ অবৈধভাবে সংগ্রহ করা৷

জাইটচিকের প্রবন্ধটি টুইটারে শেয়ার করেছেন অনেকে৷

পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার' বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর হিসেবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে কাঠের ব্যবসা চলছে তার ১৫ থেকে ৩০ ভাগই অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা৷ এটি এখন মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে৷

পাম তেল উৎপাদনের জন্য পাম গাছ লাগানোর জায়গা খুঁজতে গিয়েও আজকাল বন ধ্বংস করা হচ্ছে৷ এভাবে উৎপাদিত তেল মার্জারিন, বিস্কুট, ব্রেড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷ এছাড়া মেকআপ, ত্বকের ক্রিম, শ্যাম্পু ইত্যাদিতেও পাম তেলের ব্যবহার রয়েছে৷ ফলে এসব জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো না কোনোভাবে অবৈধ গাছ কাটার বিষয়টিকে উৎসাহ দেয়ার সঙ্গে মানুষের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷

এভাবে নিজের অজান্তে অবৈধ কাজকে প্রশ্রয় দেয়া থেকে কীভাবে বিরত থাকা যাবে সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ পাওয়া যাবে এই টুইটের লিংকে৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য