1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যা বলে অভ্যস্ত'

১২ আগস্ট ২০২২

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোর আলোচনার বিষয় ছিল সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে কে মিথ্যা বলছেন? সুইস রাষ্ট্রদূত, নাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী? আলোচক ছিলেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, গণ অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া৷

https://p.dw.com/p/4FTr1
Bangladesch | Khaled Muhiuddin Asks talkshow
ছবি: DW

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের অভিযোগ, দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছেন সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি স্যুয়ার্ড। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। যদিও রেজা কিবরিয়ার দাবি, মিথ্যা বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

খান মনে করেন, সুইস রাষ্ট্রদূতের উচিত ছিল সুইস ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে দুর্নীতির সংজ্ঞা কোথাও নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই। দুদক পাঁচ বছর ধরেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরব।''

রেজা কিবরিয়া অবশ্য বলেন, "অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যা বলে অভ্যস্ত।''

তিনি বলেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় ভরসা করতে পারছি না। সুইস রাষ্ট্রদূতের কথা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সরকারের নীতি নির্ধারকরা মিথ্যা নির্বাচনকেও ঠিক বলে প্রচার করেছেন।"

সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, ‘‘২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, দুদকের হাতপা বাঁধা।''

এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে খুরশীদ বলেন, ‘‘দুদক এটা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে।''

তার ধারণা, বিদেশে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠিত প্রবাসীরা টাকা রেখেছে সুইস ব্যাংকে। তারা দুই তিন দশক দেশের বাইরে থাকেন।

রেজা কিবরিয়ার মনে করেন, ‘‘আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো উত্তর মিলবে না।''

দুদক কি নখদন্তহীন, কোনো ক্ষমতা নেই? খালেদের এ প্রশ্নের উত্তরে খুরশীদ বলেন, সরকার কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করেনি। সিআইডি থেকে অনেক মামলা দুদককে দেয়া হয়েছে।

আর্থিক তছরুপের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা দুজনই।

আরকেসি/এআই