1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য সহায়তা

১৯ অক্টোবর ২০২০

বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা৷ সোমবার তাদেরকে খাবার এবং স্লিপিং ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের আইওএম৷

https://p.dw.com/p/3k86e
ছবি: Arafatul Islam/DW

ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার প্রত্যাশায় বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ভেলিকা ক্লাদুসার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন কয়কশো বাংলাদেশি৷ তাদের অনেকেই সেখানকার একটি জঙ্গলে মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন গত কয়েক মাস ধরে৷ কেমন আছেন তারা তা জানতে সেখানে আছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম ও অনুপম দেব কানুনজ্ঞ৷

রোববার সকালে তারা জঙ্গলে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ সরাসরি তাদের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন ফেসবুক লাইভ এ৷ ডয়চে ভেলে বাংলার ওয়েবসাইটেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে৷ সেখানে অবস্থানরতরা জানিয়েছেন তাদের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা৷ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে রোববার পর্যন্ত তারা কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন৷

তবে সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম এর একটি দল আশ্রয় নেয়াদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে৷ দেয়া হয়েছে খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ৷ বাংলাদেশিসহ প্রায় ৬০০ জনকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ আব্দুল হান্নান নামে একজন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এর আগে আমরা কখনও এরকম সহযোগিতা পাইনি৷ এই প্রথম দেয়া হয়েছে৷’’ তবে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও সেখানকার আইওএম এর কর্মীরা ডয়চে ভেলেকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি৷
 

উল্লেখ্য ভেলিকা ক্লাদুসায় আইওএম এর একটি আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে৷ তবে সেখানে ঢুকার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন জঙ্গলে এবং পাশের একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিরা৷ তারা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ হয়ে এসেছেন বসনিয়াতে৷ উদ্দেশ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইটালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কোন দেশে অভিবাসী হওয়া৷ কিন্তু সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন ডয়চে ভেলের সংবাদকর্মীদের কাছে৷ ইউরোপে আসার জন্য দালালদের কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা৷

এফএস/কেএম