1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতু প্রকল্প

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ নভেম্বর ২০১২

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন৷ দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানিয়েছেন, কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরামর্শক নিয়োগে ঘুস লেনদেনের ষড়যন্ত্র করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/16qdd
ছবি: Fotolia/Gordon Bussiek

দুদক এক বছর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে৷ প্রথমে তারা তদন্ত করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিল৷ তারপর পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক তাদের ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে৷ এরপর অনেক কাঠখড় পোড়ানোর আবার বিশ্বব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে সেতু প্রকল্পে ফিরে আসতে রাজি হয়৷ এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হল দুর্নীতির স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য তদন্ত করা৷ দুদক দ্বিতীয় দফা তদন্ত শুরুর পর বিশ্বব্যাংকের দুটি দল বাংলাদেশে এসে দুদকের সঙ্গে বৈঠক করে গেছে৷ আর দুদকও তাদের তদন্ত জোরদার করে৷ তদন্তের এ পর্যায়ে দুদক পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পেয়েছে৷ দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানিয়েছেন ক্যানাডার এসএসি লাভালিনকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ করতে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ঘুসের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে তাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে৷

দুদক চেয়ারম্যান ঐ সব ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের নাম না জানালেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন৷ তিনি জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্যদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে৷ তাদের কাছে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়া হবে৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রসিকিউটর লুইস গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক৷

পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি সই করে বিশ্বব্যাংক গত বছরের ২৮শে এপ্রিল৷ এরপর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এক বছর টানাপোড়েন চলার পর চলতি বছরের ২৯শে জুন বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করে৷ অবশেষে সরকারের তৎপরতায় শর্তসাপেক্ষে সেতু প্রকল্পে ফেরার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য