1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবরোধে আটক অ্যাম্বুলেন্স, বালকের মৃত্যু

১১ নভেম্বর ২০২১

জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের জেরে আটকে পড়ল অ্যাম্বুলেন্স। বাঁচানো গেল না সাত বছর বয়সি বালককে।

https://p.dw.com/p/42qou
প্রতীকী ছবি। ছবি: Manish Kumar/DW

মঙ্গলবার রাতে মালদহের জোত অনন্তপুর গ্রামে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে যায় সাত বছরের সাকিবুল। তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে আসা হচ্ছিল কলকাতায়। কিন্তু কৃষ্ণনগরে তখন জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে। জগদ্ধাত্রী প্রতিমা আগের মতো বেহারাদের কাঁধে বাঁশের মাচানে করে বিসর্জন দেয়ার দাবিতে। কলকাতা হাইকোর্ট করোনাকালে এভাবে বিসর্জন বন্ধ করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই রাত এগারোটা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দুই দিকেই বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ যানজট। সেই জটেই আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স। দুই ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল অ্যাম্বুলেন্স। সাকিবুলের আত্মীয়দের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের কাউকে তারা পাননি। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল পর্যন্ত আর পৌঁছাতে পারেনি সাকিবুল। অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। তার খুড়তুতো ভাই আমিনুল জানিয়েছেন, সামনের গাড়িতে থাকা মানুষজন অনেক চেষ্টা করেছিলেন জায়গা দেয়ার জন্য। কিন্তু গাড়ির জটে কিছুই করা যায়নি।

এরপর কিছু মানুষ ফেসবুকে পোস্ট করেন। তারপর পুলিশ আসে। তারা অ্যাম্বুলেন্সকে বের করার চেষ্টা করে। ততক্ষণে সাকিবুল আর নেই। পুলিশ সুপার ঈশানী পাল জানিয়েছেন, পুলিশ অবরোধস্থলে ছিল। তারা অবরোধ তোলার কাজে ব্যস্ত ছিল। অ্যাম্বুলেন্স অনেকটা দূরে আটকে পড়েছিল। তাই তারা আগে জানতে পারেনি। জানার পরেই চেষ্টা করা হয়েছিল।

ঘটনার পর পাঁচজন অবরোধকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে স্থানীয় থানার এক পুলিশ কর্মীর ছেলেও আছে।

সাকিবুলের বাবা রাজমিস্ত্রি। তিনি টাকা বাঁচিয়ে বাড়ি পাকা করছিলেন। ছাদে রেলিং দেয়া হয়নি। সাকিবুল সেখানে খেলতে গিয়ে পড়ে যায়। প্রথমে তাকে মালদহে আনা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, মাথায় রক্ত জমাট বেধে গেছে। তাই তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলা হয়। যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার)