অন্যরকম ভালোবাসা প্রকাশ
ভালোবাসা প্রকাশের নানা ধরন আছে৷ কেউ ফুল দেন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে৷ কেউ চুম্বন৷ কিন্তু বহু দেশে আশ্চর্য কিছু ভালোবাসা প্রকাশের ঐতিহ্য আছে৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে৷
জুলিয়েটের চিঠি
হতে পারে মার্কেটিং৷ হতে পারে পর্যটক টানার উপায়৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা প্রকাশের কোনো যুক্তি হয় না৷ সকলেই যেনতেনপ্রকারেণ অছিলা খোঁজে৷ ইতালির ভেরোনায় জুলিয়েটের বারান্দা অনেকটা তেমনই এক ব্যাপার৷ বলা হয়, শেক্সপিয়ারের জুলিয়েট নাকি সেখানে থাকতেন৷ এখনো সেখানে পর্যটকরা গিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার উদ্দেশ্যে চিঠি রেখে যান জুলিয়েটের বারান্দায়৷
গাছ পুঁতে প্রেম
জার্মানিতে প্রেম নিবেদনের মজার এক কায়দা আছে৷ অবিবাহিত ছেলেরা ১ মে পছন্দের মেয়েটির বাড়ির সামনে গিয়ে এক মস্ত গাছ পুঁতে দিয়ে আসে৷ বার্চ গাছের ডগায় রঙিন রিবন বেঁধে প্রেমিকার বারান্দার সামনে পুঁতে দিয়ে আসা হয়৷ পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রেমিকা প্রেমিকের গাছ থেকে চিনে নেন জীবনসঙ্গীকে৷
ভালোবাসার চামচ
ওয়েলশে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া খুব সহজ কাজ ছিল না৷ প্রেমিককে কাঠের চামচের ওপর নকশা খোদাই করতে হতো৷ দীর্ঘদিন সমুদ্র যাত্রা করার সময় প্রেমিকেরা সেই নকশা আঁকতেন৷ ফিরে এসে প্রেমিকাকে সেই চামচ উপহার দিলে প্রেমিকার পরিজনেরা সেই চামচ পরীক্ষা করে দেখতেন প্রেমিকের শৈল্পিক দক্ষতা ঠিক কতটা! সেই সতেরো শতক থেকে ওয়েলশে এই ঐতিহ্য চালু হয়েছিল৷ এখন অবশ্য দোকানেও কিনতে পাওয়া যায় নকশা করা চামচ৷
ফুলের ভালোবাসা
গরমের দিনে সুইস অবিবাহিত মেয়েরা সাতটা আলাদা মাঠ থেকে গরমের ফুল তুলে আনেন৷ সেই ফুল দিয়ে সুন্দর একটি বোকে তৈরি করে তাঁরা রেখে দেন বালিশের পাশে৷ বলা হয়, যত সুন্দর বোকে, তত সুন্দর স্বামীর স্বপ্ন দেখবেন তাঁরা৷ সুইজারল্যান্ডে এটা বহুদিনের ঐতিহ্য৷
আপেলের গায়ে শরীরের গন্ধ
এটি একটি অস্ট্রিয়ান ঐতিহ্য৷ নাচের সময় মহিলারা এক টুকরো আপেল রেখে দেন বগলের তলায়৷ এবং তারপর সেটা উপহার দেন ভালোবাসার মানুষটিকে৷ পুরুষ সেই আপেল খেলে বোঝা যাবে দু’জনেরই দু’জনের প্রতি আগ্রহ আছে৷