সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবার বিজয়ী হয়েছেন বুলবুল আবদুস সালাম৷
প্রিয় বুলবুল, আপনাকে অভিনন্দন! দয়া করে আপনার বিস্তারিত ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর এবং ই-মেল অ্যাড্রেস ডয়চে ভেলে বাংলার ই-মেল ঠিকানায় ( bengali@dw.com) পাঠিয়ে দিন দু'সপ্তাহের মধ্যে৷ তা না হলে পুরস্কারটি পরবর্তীতে অন্য কোনcf বিজয়ী বন্ধুকে পাঠানো হতে পারে৷
বিজয়ী বন্ধুদের কাছে বিশেষ অনুরোধ: পুরস্কার পেতে দেরি হচ্ছে বা পুরস্কার হাতে না পাওয়ার অভিযোগ যাঁদের, তাঁরা সবসময় নামের সাথে নিজেদের পোষ্টাল অ্যাড্রেসটিও লিখবেন, কেমন?
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
অ্যাডভেঞ্চার
মার্কিন মুলুকের ‘ওয়েস্ট’, অর্থাৎ পশ্চিমাংশের খোলা-মেলা মাঠ-প্রান্তর গোটা ঊনবিংশ শতক ধরে ‘সেটলার’ বা অভিবাসীদের টেনেছে, সুদূর ইউরোপ থেকেও৷ সেই সব কাহিনি নিয়ে কমিক আঁকা শুরু হয় বিংশ শতাব্দীতে – যেমন ১৯৩৩ সালে ফ্লয়েড গটফ্রেডসন-এর আঁকা ‘পাইওনিয়ার’ মিকি মাউস৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
দত্যি-দানব
সেটলার-রা নানা বাধাবিপত্তি, আবহাওয়ার দুর্যোগ, খিদে-তেষ্টা, রোগভোগ, হিংস্র জন্তু, সেই সঙ্গে তথাকথিত রেড ইন্ডিয়ানদের রোষ সহ্য করে এই ‘ফ্রন্টিয়ার’ অঞ্চলে বাসা বেঁধেছিলেন৷ ‘‘তার প্রথম ভাল্লুক’’ নামধারী এই ব্যঙ্গচিত্রটি এঁকেছিলেন কোনো অজ্ঞাত শিল্পী৷ কার্টুনটি প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালের ২৭শে জানুয়ারি, ‘নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকার রবিবারের সংস্করণে৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
সংস্কৃতির সংঘাত
অ্যামেরিকার বহু আদি বাসিন্দার কাছে সেটলারদের আবির্ভাব বিপর্যয় ডেকে এনেছিল৷ সেটলাররা যেমন চাষের জমি, তেমনই শিকারের ক্ষেত্রে নেটিভ অ্যামেরিকান – এককালে যাদের – ভুল করেই – ইন্ডিয়ান বলা হতো, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায়৷ উইন্সর ম্যাককে-র ১৯০৬ সালে আঁকা ছবিটিতে নেটিভ অ্যামেরিকানদের বন্য উপজাতি হিসেবে দেখানো হয়েছে৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
জনপ্রিয় জিমি
যে সব অলংকরণ শিল্পী কমিক ছবি এবং বই’কে জনপ্রিয় করে তোলেন, জেমস সুইনারটন (১৮৭৫-১৯৭৪) তাদের মধ্যে পড়েন৷ তাঁর ‘জিমি’ বা ‘লিটল জিমি’ পর্যায়ের কার্টুনগুলো চলেছিল ১৯০৪ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
কমিক-এর স্বর্ণযুগ
যুক্তরাষ্ট্রে কমিকের স্বর্ণযুগ ছিল গত শতাব্দীর বিশের ও ত্রিশের দশক৷ ওয়াল্ট ডিসনি ১৯৩০ সাল থেকে অলংকরণ শিল্পীদের কাজে লাগাতে - এবং ছাপানো কমিক থেকে নির্বাক চিত্র বানাতে শুরু করেন৷ ফ্র্যাঙ্ক কিং ছিলেন সে আমলের একজন নামকরা কার্টুনিস্ট৷ তাঁর ‘‘গ্যাসোলিন অ্যালি’’ হলো যে সব কমিক স্ট্রিপ সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চলেছে, তাদের তালিকায় দ্বিতীয়৷ এই ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৬ সালের ২৮শে আগস্ট তারিখে৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
‘ঘণ্টাখানেক পরে...’
বেলজিয়ান অলংকরণ শিল্পী এর্জ (জর্জ রেমিস, ১৯০৭-১৯৮৩) তাঁর তরুণ সাংবাদিক নায়ক টিনটিনকে নানা অ্যাডভেঞ্চারে রাশিয়া, কঙ্গো, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাল্পনিক রেডস্কিন সিটি-তেও পাঠিয়েছিলেন –- ১৯৩২ সালে৷ অ্যামেরিকায় টিনটিনের ব্ল্যাকফুট ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
কমিক থেকে ‘নিউ ইয়র্কার’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদশিল্পী
গ্যারেট প্রাইস (১৮৯৬-১৯৭৯) মাত্র কয়েক বছর ধরে কমিক এঁকেছিলেন: তাঁর ‘হোয়াইট বয়’ কমিকটি চলে মাত্র তিন বছর৷ তবুও তিনি ‘নিউ ইয়র্কার’ পত্রিকার প্রচ্ছদশিল্পী হয়েছেন এবং সে’ কাজ করেছেন সত্তরের দশক অবধি৷ তাঁর ‘হোয়াইট বয়’ কমিক স্ট্রিপের এই ছবিটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৪ সালের ২৬শে আগস্ট তারিখে৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’এ মধ্যযুগীয় নাইট
হ্যারল্ড ‘হ্যাল’ ফস্টার (১৮৯২-১৯৮২) প্রিন্স ভ্যালিয়ান্ট নামধারী এক মধ্যযুগীয় নাইট’কে তাঁর কমিক স্ট্রিপের নায়ক করেন৷ তাঁর এই কমিক স্ট্রিপে নেটিভ অ্যামেরিকানদের সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে৷ ছবিটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ই জুন তারিখে৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
মেড ইন সুইজারল্যান্ড
‘ইয়াকারি’ কমিক স্ট্রিপটির স্রষ্টা সুইজারল্যান্ডের কমিক শিল্পী ডেরিব৷ তিনি নেটিভ অ্যামেরিকান সংস্কৃতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভক্ত৷ তিনি এক ‘ইন্ডিয়ান’ কিশোরের অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে কমিক আঁকছেন ১৯৭৩ সাল থেকে৷ তাঁর স্ট্রিপে জন্তুজানোয়ার কথা বলতে পারে৷ ছবিটি ১৯৭৯ সালের৷
-
কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট
আবার লাকি লিউক
১৯৪৬ সালে যার সৃষ্টি, ২০১১ সালে সেই লাকি লিউককে আবার ফিরিয়ে এনেছেন এর্ভে দারমঁতঁ৷ তবে লাকি লিউক-এর মুখে আজ সিগারেটের পরিবর্তে খড়কে কাঠি৷ কমিকে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট প্রদর্শনীটি চলবে ২৬শে এপ্রিল অবধি, বন’এর কাছে ট্রয়েসডর্ফ শহরে৷ তারপর যাবে হ্যানোভারের ভিলহেল্ম বুশ মিউজিয়ামে৷
লেখক: সাবিনে পেশেল/ এসি
কুইজ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আর বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন, জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় #অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ