অন্ত্র এবং আত্মার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ
সারা বিশ্বের শতকরা ১১ ভাগ মানুষই পেটের কোনো-না-কোনো সমস্যায় ভোগেন, যা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকে ব্যাহত করে৷ এ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
জার্মানি এবং অ্যামেরিকার এক যৌথ গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের ভয় এবং মানসিক চাপ অন্ত্র বা পেটের সমস্যায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ এ সম্পর্কে জার্মান সোসাইটি ফর সাইকোসোমিক মেডিসিন অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইকোথেরাপির পরামর্শ, ডাইরিয়া, পেটফাঁপা, বদহজম বা পেটের অন্যান্য সমস্যায় দেহমন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন৷
খাবারের প্রভাব কতটা
অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ নানা দেশে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন, যা পেট হয়তো গ্রহণ করতে পারেনা৷ এক্ষেত্রে জার্মান গবেষণা কেন্দ্রের পরামর্শ, বেশকিছুদিন ধরে নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকুন এবং সব বিষয়ে জানান, তবেই রোগের আসল কারণ জেনে সুচিকিৎসা করা সম্ভব৷
বয়স অবশ্যই একটা ব্যাপার
মানসিক চাপ এবং শারীরিক চাপ কতটা সেটাও বড় বিষয়৷ তাছাড়া বয়সের সাথে সাথে যে শরীরের গ্রহণক্ষমতা কমে যায়, সেটাও ভুলে গেলে চলবে না৷ তাই রোগীর বয়স বুঝে এবং সমস্যাকে ভালো করে গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত৷ একথা জানান হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের প্রধান ব্যার্ন্ড ল্যোভে৷
ইতিহাস জানা
পেটের সমস্যা ও মানসিক চাপ একই সাথে শুরু হয়েছে কিনা, কিংবা আগে থেকেই আছে কিনা, এসব ইতিহাস জানা খুবই জরুরি৷ এসব জানলেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে মানসিক চাপ এবং ভয় বা আতঙ্কের সম্পর্ক কতটা তা বোঝা সম্ভব৷
ডায়রিয়া
ডায়রিয়ার ব্যাপারে মানসিক চাপের ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ এক্ষেত্রে রোগী নারী না পুরুষ সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তাছাড়া কখনো কখনো অন্যান্য ইনফেকশনের কারণে ডায়রিয়ার মাধ্যমেও পেটের সমস্যা জটিল হয়ে যায়৷
অন্য ওষুধের প্রভাব
একই সাথে অন্য কোনো ওষুধ সেবনের কারণেও ডাইরিয়া মারাত্মক আকার নিতে পারে৷ তবে এ রকমটা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে৷ এমনটাই বেরিয়ে এসেছে গবেষণায়৷
মানসিক চাপে পুরুষরা তাড়াতাড়ি কাবু
অন্যদিকে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়৷ মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের এই প্রবণতা বেশি, অর্থাৎ মানসিক চাপে পুরুষরা তাড়াতাড়ি কাবু হয়৷ কাজেই পুরুষরা সতর্ক থাকুন !
শরীর থেকে মনে
যৌথ গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন যে, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ আর সে কারণেই শরীরের যে কোনো সমস্যায় মনের খোঁজ রাখতে হবে এবং এর উল্টোটাও একই রকম প্রয়োজন৷ অনেকের ক্ষেত্রে অনেকদিন কোনো মানসিক চাপে থাকার পর হঠাৎ করেই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷ অন্যদিকে কেউ কেউ বহুদিন শারীরিক সমস্যায় থাকার কারণে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করেন৷
মানসিক চাপ দূরে রাখার উপায়
মানসিক চাপ থেকে সময়মতো বেরিয়ে আসা বা চাপ সত্ত্বেও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব৷ সেজন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা, ব্যায়াম, খেলাধুলা ইত্যাদি৷ বলেন, মনোবিজ্ঞানী হারাল্ড গ্যুন্ডেল৷
শেষ কথা
শারীরিক এবং মানসিকভাবে যিনি সুস্থ, তাকেই কেবল বলা যায় ‘সুস্থ’ মানুষ৷ জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে সুস্থ থাকাটাও জরুরি৷