অন্তত হাসতে পারছে মেয়েটি
বয়স তার ১৮৷ কিন্তু ওজন মাত্র ১৬ কেজি৷ তাও গত দেড় মাসের চিকিৎসায় ওজন পাঁচ কেজি বেড়েছে বলে৷ ছবিঘরে থাকছে সাঈদা আহমেদ বাঘিলির কথা৷
অবশেষে মুখে হাসি
গত অক্টোবরে সাঈদা আহমেদ বাঘিলিকে যখন ইয়েমেনের হোডাইডা শহরের আল থাওরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন ১৮ বছরের মেয়েটির ওজন ছিল মাত্র ১১ কেজি৷ সহজে চোখ খোলা রাখতে পারত না সে৷ দাঁড়াতেও পারত না৷ বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন অন্তত সে হাসতে পারছে৷
তবে ঐটুকুই
হ্যাঁ৷ সে যে হাসতে পারছে সেটুকুই উন্নতি বলা হয়৷ কারণ এখনও তার শরীর বেশ খারাপ৷ হাড়গোড়ের অবস্থাও ভঙ্গুর৷ অবস্থা যে কোনোদিন স্বাভাবিক হতে পারে, সে আশা করছেন না ডাক্তাররা৷
আগে যেমন ছিল
প্রথম দু’টি ছবি আর ‘ক্যাপশন’ পড়ার পর যাঁরা বাঘিলি আগে দেখতে কেমন ছিল জানতে চান তাদের জন্য এই ছবি৷ অক্টোবরে তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখনকার ছবি এটি৷
শুরু পাঁচ বছর আগে
পাঁচ বছর আগে প্রথম বাঘিলির মধ্যে পুষ্টিহীনতার লক্ষণ দেখা দেয়৷ গলায় ব্যথার কারণে সে শক্তি কিছু খেতে পারে না৷ ফলে শুধু তরল জাতীয় খাবার খেতে হচ্ছে তাকে৷
গৃহযুদ্ধ সমস্যা বাড়িয়েছে
ইয়েমেনে গত প্রায় ১৯ মাস ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে৷ সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট ও ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতি মুভমেন্টের সদস্যদের মধ্যে এই যুদ্ধ চলছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বাঘিলির অভিভাবকরা পর্যাপ্ত অর্থ আয় করতে পারেননি বলে এই সময়টায় তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি৷ ছবিতে বাঘিলির বাবাকে দেখা যাচ্ছে৷
অবশেষে
বাঘিলির খালা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কয়েকজন দানশীল ব্যক্তি অর্থ সহায়তা দেয়ায় বাঘিলিকে ২২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ছবিটি সেই সময় তোলা৷
আগের কথা
অসুস্থ হওয়ার আগে ভেড়া পালতো বাঘিলি৷ হোডাইডা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি গ্রামে তারা বাস করে৷
খাদ্য সংকট
জাতিসংঘ বলছে, গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে৷ বর্তমানে দেশটির অর্ধেকেরও (১৪ মিলিয়ন) বেশি নাগরিক খাদ্য সংকটে রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
অপুষ্টি
ইউনিসেফ-এর হিসেবে সে দেশের প্রায় ১৫ লক্ষ শিশু এখন অপুষ্টিতে ভুগছে৷ এর মধ্যে তিন লক্ষ ৭০ হাজার শিশুর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা এত বেশি, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল করে দিচ্ছে৷
প্রাণহানি
গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ অবশ্য জাতিসংঘের হিসেবে সংখ্যাটি সাত হাজারের কাছাকাছি৷