অনেকে ঘৃণা করে, কেউ কেউ চেটেপুটে খায়
এমন খাবার যে কেউ খেতে পারে তা অনেকে ভাবতেই পারেন না৷ কারো কারো মতে, এমন খাবারের কৌটো খোলা উচিত গভীর জলে, যাতে দুর্গন্ধে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন! এমন খাবারও কিন্তু অনেকে চড়াদামে কিনে খান৷ দেখুন ছবিঘরে...
সুইডেনের ‘গভীর জলের খাবার’!
সুইডেনের এই টিনজাত খাবার নিয়ে চালু আছে অনেক মজার মজার কৌতুক৷ অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ‘‘বাপু, শখ থাকলে এ খাবার বেশি করে খাও, কিন্তু কৌটোটা খোলো জলের নীচে ডুব দিয়ে!’’ খাবারটির নাম সুরস্ট্যোর্মিং৷ এক ধরনের মাছ পচিয়ে তৈরি এ খাবারটি এত দুর্গন্ধযুক্ত যে অনেক বিমানে তা নিয়ে ঢোকা বারণ৷
হাঙরের পচা মাংশ
এমনিতে হাঙরের মাংশ খুব বিষাক্ত৷ কিন্তু যত পুরোনো হয়, বিষ ততই কাটতে থাকে৷ ‘হ্যাকার্ল’ নামের এই খাবারটিও হাঙরের পচা মাংশ দিয়ে তৈরি৷ এ খাবার বেশি খাওয়া হয় আইসল্যান্ডে৷
ষাঁড়ের অণ্ডকোষ!
মধ্য ইউরোপে এক সময় ষাঁড়ের শরীরের এই বিশেষ অংশটি খুব খাওয়া হতো৷ তবে এখন খুব বেশি লোক আর প্রকাশ্যে এ খাবার খায় না৷ তাই বলে একেবারে দুষ্প্রাপ্যও নয় এটি৷ বিশেষ কিছু রেস্তোরাঁয় এখনো পরিবেশন করা হয় এ খাবার৷ এক সময় মনে করা হতো, এটি খেলে যৌনক্ষমতা বাড়ে৷
দাঁত না থাকলে...
প্রাচীন কালে দীর্ঘদিন সাগরে থাকার ফলে ভিটামিনের অভাবে একসময় নাকি নাবিকদের সব দাঁত পড়ে যেতো৷ তাঁরা তখন কী খেতেন, জানেন? আলু, বিটরুট, মাংশ আর মাছ৷ শুনতে খুব স্বাভাবিক শোনালেও খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক হতো না৷ নরম করার জন্য মাছ আর মাংশটা খুব পচিয়ে নেয়া হতো৷ উত্তর জার্মানির কিছু অঞ্চলে এখনো খাওয়া হয় এ খাবার৷
যে খাবারে কিলবিল করে কীট
ইটালির সার্ডিনিয়া অঞ্চলের বিখ্যাত এ খাবারের নাম ‘কাজু মার্কু’৷ কাজু মার্কু মানেই হলো পচা চিজ৷ খাবারটির মূল উপাদান যে পচা চিজ তা তো বুঝতেই পারছেন৷ সে পচা এমন পচা যে সেখানে কীট জন্ম নেয় এবং সেই কীট কিলবিল করে তার বেঁচে থাকা নিশ্চিত করে সানন্দে! এমন খাবারও চেটেপুটে খান অনেকে৷