অনাহারের আরেক নাম আমলাশোল
২০০৪ সালের ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে তখন বামেদের শাসন। আমলাশোলে অনাহারে নয়জনের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিশ্বের নজর পড়ে আমলাশোলের উপর।
১৬ বছর পর
সেই ঘটনার পর ১৬ বছর কেটে গেছে। কেমন আছে এখন আমলাশোল? এই দীর্ঘ সময়ে পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ আর অনাহারে মারা যান না। কিন্তু অবস্থা পুরোপুরি ফিরেছে কি?
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে আমলাশোলে উন্নয়নের চেষ্টা করেছে সরকার। নানা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তবে তার চেহারা খুব একটা ভরসা জাগানোর মতো নয়।
বাড়ি দেয়া হয়েছে
আমলাশোলের হতদরিদ্র মানুষের জন্য বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে সরকার। পাকা বাড়ি। তালাবন্ধ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়
১৯৫৮ সালে তৈরি হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই স্কুল চলছে। তবে এখানে মানুষের মূল সমস্যা জীবনধারনের ন্যূনতম জিনিসের সংস্থান করা।
চাল দেয় সরকার
আমলাশোলের গরিব মানুষদের চাল দেয় সরকার। তাদের সাহায্য করা হয় অন্য সরকারি প্রকল্প থেকেও। কিন্তু আমলাশোল খুবই গরিব এলাকা। কর্মসংস্থান এখানে বড় সমস্যা। সেই সমস্যা থেকেই গেছে।
বাবুই ঘাসের দড়ি
বাবুই ঘাসের দড়ি বানিয়ে সামান্য রোজগার করেন মেয়েরা। তাদের সামনে রোজগারের বিকল্প খুবই কম।
কেমন আছে আমলাশোল
১৬ বছর আগের অবস্থা আর নেই। মানুষ অনাহারে মারা যান না এখানে। তবে তারা যে খুব ভালো আছেন, এটাও বলা যাচ্ছে না। এই গরিব এলাকার সমস্যার তালিকাটা এখনো বেশ বড়।