1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অনার কিলিং' বন্ধে হটলাইন

১২ আগস্ট ২০১৭

ভারতে এই প্রথম অন্য জাত বা ধর্মের সঙ্গীকে বিয়ে করার ‘অপরাধে' অনার কিলিং বা পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা বন্ধে হটলাইন চালু হয়েছে৷ তামিল নাড়ু রাজ্যের মাদুরাই পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2i2q4
Symbolbild Protest gegen Vergewaltigungen in Indien
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Saurabh Das

এর ফলে কোনো জুটি যদি প্রেম বা বিয়ে করলে পরিবারের রোষানলে পড়ার শঙ্কায় পড়েন, তাহলে হটলাইনটিতে কল করে সাহায্য চাইতে পারেন৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে যে, এই নাম্বারে ফোন করতে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না৷

‘‘২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে এই হটলাইন৷ অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব৷'' বলেছেন মাদুরাই পুলিশ কমিশনার মহেশ কুমার আগরাওয়াল৷

‘‘অভিযোগকারী জুটিকে সুরক্ষাও দেয়া হবে৷''

সরকারি হিসেবে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারতে ৪০০ অনার কিলিং বা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে নারীরাই এর শিকার বেশি হয়েছেন৷

এ সব হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ একটাই৷ পরিবারের বাকি সদস্যরা মনে করেন, হত্যার শিকার সদস্যটি তাদের সম্প্রদায়ের জন্য ‘লজ্জা' বয়ে এনেছেন৷

মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, অনার কিলিং যে মাত্রার অপরাধ, সে মাত্রায় একে গুরুত্ব দেয়া হয় না৷  বরং অনেক ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায়৷ অনেকেই ভিক্টিমদের ফাঁস দিয়ে অথবা বিষ খাইয়ে পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়৷

গেল কয়েক দশকে ভারতে উদারনৈতিকতার বিস্তার ঘটলেও এখনো অনেকেই বিভিন্ন জাত বা ধর্মের মানুষ অন্যান্য জাত বা ধর্মের মানুষের সঙ্গে বিয়ে মেনে নিতে পারেননি৷ এই ট্যাবু যে শুধু গ্রামাঞ্চলেই আছে তা নয়, শহরাঞ্চলের শিক্ষিত-স্বচ্ছল পরিবারেও দেখা যায়৷

এই অপরাধ বন্ধে গত বছর মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক রায়ের প্রেক্ষিতেই মাদুরাই পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে৷ অন্য জাতের মেয়ে বা ছেলে বিয়ে করার জন্য পরিবার, আত্মীয়-স্বজন কিংবা পঞ্চায়েত দ্বারা শারীরিক নির্যাতন হতে পারে, এমন অভিযোগ শুনতে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট৷

শুধু তাই নয়, ছেলে-মেয়েদের সুরক্ষা দেয়া এবং পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বলারও আদেশ দেয়া হয়৷

২০১৪ সালে এক উঁচু জাতের এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো এবং বিয়ে করার ‘অপরাধে' পরিবারের সদস্যরা উভয়কেই নির্যাতন করে এবং মেয়েটিকে মেরে ফেলে৷ এই মামলা আদালতে গেলে আদালত এ রায় দেন৷

কোর্টের নথি অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তামিল নাড়ুতে ৪৭টি অনার কিলিংয়ের কেস ফাইল হয়৷

‘‘এই হেল্পলাইন একটি ভালো উদ্যোগ৷'' বলছিলেন রাজ্যটির একজন মানবাধিকার কর্মী কে স্যামুয়েলরাজ৷ ‘‘কিন্তু এমন সেবা পুরো রাজ্যেই ছড়িয়ে দিতে হবে৷ আমরা প্রতিটি জেলায় যেন আলাদা ইউনিট করা হয়, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছি৷''

জেডএ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

অনার কিলিং রোধে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর? আপনার মতামত দিন নীচের ঘরে৷