1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনশনে প্রতিবাদী কৃষকরা

১৪ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতীকী অনশনে বসেছেন ভারতের প্রতিবাদী কৃষকরা। তাঁদের সমর্থন করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

https://p.dw.com/p/3mgHG
কৃষক আন্দোলন
ছবি: Moshin Javed

সমাধানসূত্র এখনো অধরা। দিনভর অনশনে বসলেন ভারতে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা প্রতীকী অনশনে বসেছেন। এতেও কাজ না হলে তাঁরা লাগাতার অনশন শুরু করবেন। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় শুরু হয়েছে অনশন। কৃষকদের অনশন সমর্থন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনিও কৃষকদের সঙ্গে অনশন শুরু করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল, দিল্লি সীমানা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। সাম্প্রতিক কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দুই মাস আগেই পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাংশের কৃষক আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁরা দিল্লি সীমানায় চলে আসেন। দিল্লির সীমানায় হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রায় সবকটি বর্ডার আটকে দিয়েছেন তাঁরা। এই প্রবল শীতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। আইন প্রত্যাহারে রাজি নয় সরকার, কৃষকরাও নিজেদের দাবিতে অনড়। গোটা দেশের ৩৩টি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলন চালাচ্ছেন। যোগ দিয়েছেন কয়েক লাখ কৃষক। সরকারের তরফে কোনো প্রতিশ্রুতি না মেলায় রোববারেই কৃষক নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা অনশন করবেন। যার পরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দেন তিনিও অনশন করবেন। কৃষকদের হুমকি, এরপরেও সরকার তাঁদের দাবি না মানলে লাগাতার অনশন শুরু হবে। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিকে সোমবার দুপুরেও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কী ভাবে কৃষকদের আন্দোলন বন্ধ করা যায়, কেন্দ্র কতদূর পর্যন্ত মাথা ঝোঁকাতে পারে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সরকার অবশ্য এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানায়নি। অন্য দিকে, সিঙ্গু সীমানায় কৃষকদের সমর্থনে বহু গণ সংগঠন উপস্থিত হয়েছে। চলছে গান। প্রতীকী চাষও করেছেন কৃষকরা। রাস্তার মাঝে ডিভাইডারে সবজি লাগিয়েছেন তাঁরা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)