অত্যাধুনিক, আদিম কিংবা সোনার তৈরি: ব্যতিক্রমী কিছু টয়লেট
সবারই সেখানে যেতে হয়, তবে কেউই এই নিয়ে সহজে কথা বলতে চান না৷ সম্প্রতি জেরুসালেমে বাইবেল যুগের এক টয়লেটের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ এই ছবিঘরে থাকছে ব্যতিক্রমী কিছু ল্যাট্রিনের কথা৷
জেরুসালেমে প্রাচীন কালের শৌচাগার
জেরুসালেমে চারকোনার চুনাপাথরের টুকরার মধ্যে ফুটো করে তৈরি এই টয়লেটটি খ্রীষ্টপূর্ব সাত শতকে তৈরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এটির নীচে রয়েছে একটি সেপটিক ট্যাংক৷ এধরনের টয়লেট সেসময় শুধু ধনীদের পক্ষেই ব্যবহার সম্ভব ছিল৷
কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়
এখন অবধি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো যে টয়লেট পাওয়া গেছে সেটি সুমেরীয়রা মেসোপটেমিয়াতে খ্রীষ্টপূর্ব ৩,৫০০ থেকে ৩,০০০ সালের মধ্যে গড়েছিল৷ লিবিয়ার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পাওয়া ছবির টয়লেটটি রোমানদের তৈরি৷ তাদের কাছে শৌচাগারে যাওয়া কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং সামাজিক ইভেন্ট ছিল৷ ফলে শৌচাগারগুলোর মধ্যে কোনো দেয়াল নেই৷
ভিন্ন ভিন্ন প্রথা
এশিয়ার দেশগুলোর টয়লেটগুলোতে বসে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে হয়৷ এর দু’টো সুবিধা আছে৷ প্রথমত, এভাবে শরীরের ভেতর থেকে মল বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সহজ হয়৷ দ্বিতীয়ত, অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছুর উপরে বসতে হয় না৷ আরব বিশ্বসহ বিশ্বের অনেক দেশে শৌচকার্যে টিস্যু পেপারের বদলে পানি ব্যবহার করা হয়৷
জাপানের অত্যাধুনিক টয়লেট
পশ্চিমা ফ্লাশ টয়লেটে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জাপান৷ সেদেশে তৈরি টয়লেটগুলোতে স্বয়ংক্রিয় এয়ার ফ্রেশনার, গরম সিট, ইনবিল্ট মিউজিক সিস্টেম এবং ওয়াইফাইসহ নানা ব্যবস্থা রয়েছে৷
স্বচ্ছ টয়লেট
জাপানের রাজধানী টোকিওর পাবলিক টয়লেটগুলোর দেয়াল স্বচ্ছ৷ তবে, টয়লেটগুলো যখন ব্যবহার করা হয় তখন সেগুলোর দেয়াল ঘোলা হয়ে যায় ফলে ভেতরে কী হচ্ছে তা আর দেখা যায় না৷
মহাকাশে টয়লেট
নাসা ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ২০২০ সালে মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী দু’টি টয়লেট তৈরি করেছে৷ এগুলো এখন অবধি তৈরি সবচেয়ে দামি শৌচাগার৷
১৮ ক্যারেট সোনার টয়লেট
নিউইয়র্কের গুগেনহাইম মিউজিয়ামে ২০১৬/১৭ সালে ১৮-ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি একটি টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলেন দর্শনার্থীরা৷ ইটালীয় শিল্পী মাউরিৎসিও কাটেলানে এটি তৈরি করেন৷ ২০১৯ সালে অবশ্য এই শিল্পকর্মটি চুরি হয়ে যায়৷