অতিমারি ভুলতে পায়রা পোষা!
কিউবার স্থানীয় বাসিন্দারা অতিমারির সময় গৃহবন্দি সময় কাটাতে পায়রা পোষার দিকে ঝুঁকেছেন৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছাদে পায়রার বাসা
পায়রাপ্রেমী পেদ্রো মারেরোর বাসার ছাদের ছবি৷ কিউবার রাজধানী হাভানার বাসিন্দা পেদ্রো স্থানীয় সিডাকটিভ পিজিওন প্রোমোশন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে বাসা থেকে বেরোনোর নিয়ম নেই৷ পালিয়ে যাওয়ার একমাত্র জায়গা বলতে এই ছাদটাই৷ এখানে আমাদের পোষ্যরা আছে, তাদের সাথে ভালো সময় কাটে৷’’
আইনে বদল
কিউবায় সদ্য পাস হওয়া প্রাণিকল্যাণ আইনের অধীনে কতগুলি পাখি পোষা যাবে, সেবিষয়ে কোনো সর্বোচ্চ মাত্রা বেঁধে দেওয়া নেই৷ শুধু মানতে হবে ‘প্রাণিকল্যাণ ও স্বচ্ছতা সম্পর্কিত বিধি’, জানাচ্ছে কিউবার কৃষি মন্ত্রণালয়৷
পায়রার বাজার
আকাশে উড়তে থাকা পায়রাকে পোষ মানানো ছাড়াও বাজারে কিনতে পাওয়া যায় হরেক রকমের পায়রাও৷ এছাড়া, স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হিসাবে নানা রীতিতেও থাকে পায়রার অংশগ্রহণ৷ স্থানীয় আফ্রো-কিউবান ধর্মীয় রীতিতে পায়রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ফলে বাজারে এই পাখির চাহিদা সবসময় বেশি৷
পায়রা যখন প্রতিযোগী
পায়রাপ্রেমী ফ্রেডি মোরেরোর কাছে আকাশে বেশ কিছু পায়রার মধ্যে শিকারের জন্য দাপাদাপি দেখা বেশ আনন্দের৷ তিনি বলেন, ‘‘পাড়ার অন্যান্য পায়রার সাথে নিজের পায়রাকে তাল মিলিয়ে লড়তে দেখা বেশ মজার৷ একজন পায়রা-মালিকের কাছে নিজের পোষ্যকে এই লড়াইয়ে জিতে ঘরে শিকার আনার চেয়ে বড় বিজয় আর কিছু নয়৷’’
ভালোবাসার সম্পর্ক
কিন্তু সব পায়রাপ্রেমীই এই পাখিকে লড়ানোর জন্য পুষছেন না৷ ইয়োসবানি দে লা রসা বলেন, ‘‘আমি তাদের জন্য ভালোবাসা অনুভব করি৷’’ পাখির ডাক শুনে ও তাদের উড়তে দেখেও অনেকে শান্তিপূর্ণ সময় কাটান করোনা জর্জরিত কিউবায়৷
কিউবায় করোনা
দেশটির সীমান্ত খুলে দেবার পর থেকে সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ৷ মে মাসে, দেশটিতে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন৷ দিনে গড়ে এক হাজার ১৬০জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন গুরুতর পরিস্থিতিতে৷ এপ্রিল পর্যন্ত, করোনায় মৃত্যু হয় ২২৯জনের, যা মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫৮তে৷
অতিমারির মধ্যেও...
সরকারি বিধিনিষেধ ও সংক্রমণরোধে নেওয়া কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের জেরে কিউবায় গৃহবন্দি জনতা৷ ফলে, পায়রা ও অন্যান্য প্রাণী পোষা, তাদের দেখভাল করার মাধ্যমে কিছুটা হলেও নিজেদের ভুলিয়ে রাখছেন সেখানকার মানুষ৷