1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অক্সফোর্ডের টিকা সংক্রমণও কমায়

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা দুই তৃতীয়াংশ কমে যায়। দাবি যুক্তরাজ্যের গবেষকদের।

https://p.dw.com/p/3oqnz
জানুয়ারি থেকেই যুক্তরাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ছবি: Frank Hoermann/Sven Simon/imago images

নতুন একটি সমীক্ষা বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এক ডোজ নিলেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়। শুধু যে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায় তাই নয়, ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়। আর প্রথম ডোজ নেয়ার প্রায় ১২ সপ্তাহ পরেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা বলছে, যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁরা করোনার হাত থেকে বাঁচছেন। সাধারণত ভ্যাকসিন নেয়ার পর অনেক সময় তাঁরা অন্যদের কাছে ভাইরাস ছড়ানোর কাজটা করতে পারেন। কিন্তু কোভিশিল্ড নিলে শুধু যে তিনি সুরক্ষিত থাকছেন তাই নয়, তাঁর কাছ থেকে অন্য মানুষের কাছে ভাইরাস যাওয়ার সম্ভাবনাও দুই তৃতীয়াংশ কমে যাচ্ছে। এক ডোজ ভ্যাকসিন নিলে করোনার হাত থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাঁরা গুরুতর অসুস্থও হবেন না বলে গবেষকদের দাবি।

৭৬ শতাংশ সুরক্ষা

এক ডোজ ভ্যাকসিন নিলে দুই মাসের জন্য ৭৬ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে তাঁদের গবেষণার রিপোর্ট হলো, একবার ভ্যাকসিন নিলে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত তার সুফল পাওয়া যাবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রথম ডোজ নেয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি। সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মেনে পাঙ্গালোস জানিয়েছেন, তাঁদের তথ্য বলছে, প্রথম ডোজের ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিলেই চলবে।

সমীক্ষার ফলাফল এবার পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তবে যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আগে যত বেশি সম্ভব মানুষকে প্রথম ডোজ দিতে চাইছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই গবেষণার ফলকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইউরোপের মধ্যে করোনা সব চেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যুক্তরাজ্যেই। সেখানে এক লাখ আট হাজার মানুষ মারা গেছেন। সেখানে অক্সফোর্ড ছাড়াও ফাইজার-বায়োনটেক ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তবে অক্সফোর্ডের এই সমীক্ষায় ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দেখা হয়নি।

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ)