1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১৬ বছর বয়সি প্রতিভাবান সাহিত্যিক সারা

১০ আগস্ট ২০১০

সারা সমরসিংহ৷ বয়স মাত্র ১৬৷ পিতৃভূমি শ্রীলঙ্কা৷ বাবা-মা দু'জনই প্রকৌশলী৷ এই বছরই কলেজ চত্বরে পা দেবেন সারা৷ কিন্তু এই বছরই প্রকাশিত হবে তাঁর আরো দু'টো উপন্যাস৷

https://p.dw.com/p/OgSi
ষোড়শী লেখিকা সারাছবি: privat

আরো বলতে হচ্ছে, কারণ ইতিমধ্যেই গত চার বছরে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর পাঁচখানা উপন্যাস৷ তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ডালায়না'৷ এরপর প্রকাশিত হয় ‘ডুপ্লিকেটস', ‘লাভ অ্যান্ড লাইস', ‘ব্রোকেন এঞ্জেল' এবং ‘গটা লাভ হাই স্কুল'৷ বের হয়েছে কবিতা আর ছোট গল্পের সংগ্রহ৷ লিখেছেন অনেকগুলো নিবন্ধ আর প্রবন্ধও৷ এই ছোট্ট মেয়েটি সাহিত্যে বিচরণ শুরু করেন সেই পাঁচ বছর বয়সে৷ একটু একটু করে বেড়ে উঠছেন নিউ জার্সির হোমডেল শহরে৷

প্রথম দৃষ্টিতে সারার ওয়েবসাইটটি দেখতে ঠিক অন্য দশটি টিনএজেড মেয়ের মতোই মনে হবে৷ কালো পটভূমিতে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের অক্ষর দিয়ে সাজানো৷ বেশ কিছু ছবির সাথে রয়েছে সারার প্রিয় সংগীত শিল্পী, প্রিয় সিনেমা, প্রিয় উক্তি৷ রয়েছে শিল্পী কেলি ক্লার্কসন, ছবি ‘টেন থিঙ্গস আই হেট অ্যাবাউট ইউ' এবং প্রিয় লেখক হিসেবে রয়েছে জে কে রাউলিং এবং প্রিয় উক্তি জেনিফার অ্যানিস্টন-এর৷ সারার শ্রদ্ধার পাত্রদের তালিকায় অন্যান্যের সাথে রয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নাম৷

কিন্তু সারার সাইটের আসল যে ভিন্নতা তা হলো – তাঁর নিজের লেখা সবগুলো বই-এর প্রচ্ছদ, আত্মজীবনী, এনবিসি, এবিসি এবং সিবিএস-এর মতো বড় বড় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া তাঁর নিজের সাক্ষাৎকারের সংকলন৷ রয়েছে খুব চমকে যাওয়ার মতো সারার নিজস্ব ব্লগ৷ বয়স প্রসঙ্গে সারা বলেন, ‘‘বেশ কিছু জিনিস থেকে আমাকে বঞ্চিত করে আমার বয়স, কিন্তু এটা আমাকে সহায়তাও করে৷'' আরেকটু ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘‘আমি মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেখিকা হওয়ায়, আমার সাথে যখন মানুষ কথা বলতে আসেন, তখন আমি আমার বার্তাগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাই৷ আমি শিশুদের পড়া এবং লেখার বিষয়টিকে উৎসাহিত করি, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ৷''

এমন প্রতিভাবান সারাকে নিয়ে বাবার উচ্ছ্বাস, ‘‘আমি মনে করি, সে হচ্ছে এক ব্যতিক্রম৷ আমি কখনই চিন্তা করিনি যে, সে এতোটা অল্প বয়সে এতো বড় হতে পারবে৷'' বাবার উচ্ছ্বাসের জবাবে একটু লজ্জামাখা সারার উক্তি, ‘‘আমার বয়সে সবার যতোটা পড়া উচিত ততোটা তারা পড়ে না৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন