১৬ বছর না হলে সমাজমাধ্যম ব্যবহার নয় অস্ট্রেলিয়ায়
২৯ নভেম্বর ২০২৪বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় এই আইন পাশ হয়েছে। অর্থাৎ, সমাজ মাধ্যম সংক্রান্ত বিলটি পার্লামেন্টে আইন হিসেবে পাশ হয়েছে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের নীচে কেউ সমাজ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এর মধ্যে ফেসবুক, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, এক্স এবং ইনস্টাগ্রাম আছে। আইন ভাঙলে ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হবে সমাজমাধ্যমগুলিকে। অর্থাৎ, সমাজ মাধ্যমগুলিকে খেয়াল রাখতে হবে ১৬ বছরের নীচে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলছে কি না।
মেটা জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার তড়িঘড়ি এই আইন প্রণয়ন করেছে। আরেকটু সময় নিয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করা দরকার ছিল। ফেসবুক এমনিতেই বয়সের দিকটি নজরে রাখে। কোন বয়সের মানুষ কী ধরনের ফিড দেখতে পাবেন, সেদিকে নজর রাখা হয়।
স্ন্যাপচ্যাটের তরফেও বলা হয়েছে, আইনটি যুক্তিসংগত নয়। আইনের মধ্যে বহু ফাঁক থেকে গেছে। এবং পুরো বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কীভাবে এই আইন কাজ করবে তা-ও স্পষ্ট নয়। স্ন্যাপচ্যাটের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারের সঙ্গে তারা এবিষয়ে কথা বলবে এবং একটি ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করবে।
টিকটকের তরফে বলা হয়েছে, তারা এই আইনটি নিয়ে অত্যন্ত হতাশ। এর ফলে শিশু এবং কিশোররা ডার্ক ওয়েভের দিকে ঢুকে পড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ডার্ক ওয়েভে অপরাধমূলক কাজ হয়। সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে শিশু-কিশোরদের অপরাধমূলক সাইটে ঢোকার প্রবণতা বাড়তে পারে।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবেনিস বলেছেন, তিনি চান ফোন ছেড়ে শিশু-কিশোররা ক্রিকেট মাঠে, টেনিস কোর্টে, সুইমিং পুলে ফিরে যাক। খোলা আকাশের নীচে তারা খেলাধুলো করুক। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি জানেন, এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি পালন করা যাবে না। কিন্তু যেভাবে দেশে মদ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, সেভাবেই এই ব্যান লাগু থাকবে। এতে অন্তত একটি সামাজিক বাধা তৈরি করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী একথা বললেও বিরোধীদের বক্তব্য, আইনটি এখনো তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই আইন ভাঙলে ব্যক্তির উপর কী শাস্তি নেমে আসবে, তা স্পষ্ট করে বলা নেই আইনে। বহু তথ্যই স্পষ্ট করে বলা নেই। কোনো রাজনীতিবিদের মতে, এই আইন ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)