1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেরাতে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হামলা, চার হামলাকারী নিহত

২৩ অক্টোবর ২০১০

তারা চারজন৷ পরণে পুলিশের পোশাক৷ পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতে অবস্থিত জাতিসংঘের অফিসে নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখকে পুরোপুরি ফাঁকি দিয়ে তারা ঢুকে পড়লেন৷ তারপর গুলি এবং বোমার আক্রমণ৷

https://p.dw.com/p/PlzE
ছবি: AP

আফগানিস্তানের হেরাত শহরের বাইরে জাতিসংঘের কার্যালয়ে আত্মঘাতী হামলাটি হয় শনিবার৷ পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের হাতে বিস্ফোরক তো ছিলই, ছিল হালকা অস্ত্র৷ উর্দী পরা এই আত্মঘাতী দলের প্রথমজন বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে জাতিসংঘের কার্যালয়ে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়৷ দ্বিতীয় জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় ভবনটির ঠিক বাইরে৷ ভবনের সীমানার মধ্যে থেকে বৃষ্টির মতো গুলি করছিল অন্য যে দুই আক্রমণকারী, তাদেরকেও হত্যা করা হয়েছে৷

হেরাতের পুলিশ প্রধান দেলোয়ার শাহ দেলোয়ার জানিয়েছেন, এই হামলায় জাতিসংঘের কোন কর্মী কিংবা নিরাপত্তা রক্ষী আহত বা নিহত হননি৷ তালেবান গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে জানিয়েছিলেন, আততায়ীর সংখ্যা তিনজন৷ পরে অবশ্য তিনি জানান, জঙ্গিরা ছিল চারজন৷ সর্বশেষ জনের মৃতদেহ তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন৷

আক্রমণের সময় সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছিলেন৷ জাতিসংঘের কাবুল অফিস এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশকর্তা দেলোয়ারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জানিয়েছে, তাদের সকলে সুস্থ আছেন৷

গত বছরের অক্টোবর থেকেই তালেবান হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু জাতিসংঘ এবং এর কর্মীরা৷ আজকের হামলাটি হয় স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে৷ হেরাত শহর থেকে আট মাইল দুরে অবস্থিত এই কার্যালয়টি৷

স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন৷ তবে জাতিসংঘের ঐ অফিসে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তা হেনরি বার্গাড জানান, প্রথমে তাদের ভবন লক্ষ্য করে রকেট হামলা করে থাকতে পারে৷ এরপর জঙ্গিরা হালকা অস্ত্র দিয়ে তাদের দিকে গুলি করেছে৷

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার পর ঐ এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা৷

অপরদিকে, তালেবান মুখপাত্র ইউসুফ আহমেদি অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, ‘আমরা এই হামলা চালিয়েছি৷ এই ধরণের হামলা চলতেই থাকবে৷'

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম