1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব বিতর্কে মুখ খুললেন যোগী

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন আবহে হিজাব বিতর্ক আরো উসকে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ জানালেন, ভারত শরিয়ত আইনে চলবে না৷

https://p.dw.com/p/46yeP
যোগী আদিত্যনাথ
ছবি: MONEY SHARMA/AFP

কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভারতীয় সংবিধান পোশাকের অধিকার দিয়েছে৷ কিন্তু সেই অধিকার সার্বিক নয়৷ স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম সকলকেই মানতে হবে৷ সেখানে ধর্মীয় পোশাক মেনে নেওয়া যায় না৷ শুধু তা-ই নয়, যোগীর মন্তব্য, ‘‘নতুন ভারত সংবিধান মেনে চলবে৷ ভারত শরিয়াত আইন মেনে চলবে না৷’’

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আবহে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন যোগী৷ এর আগে তিনি বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে সমর্থন জানাবে, ২০ শতাংশ মানুষ অন্যদিকে থাকবেন৷ হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের কথা মাথায় রেখেই তিনি একথা বলেছিলেন বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল৷ কারণ, উত্তরপ্রদেশে হিন্দু-মুসলিম অনুপাত এর কাছাকাছি৷ যোগী অবশ্য সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ধর্মীয় মেরুকরণের জন্য তিনি একথা বলেননি৷

বাংলাকে তোপ

এদিন পশ্চিমবঙ্গকেও আলাদা করে নিশানা করেছেন যোগী৷ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানুষ এসে উত্তরপ্রদেশে গন্ডগোল ছড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ নাম না করলেও তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, তা কার্যত স্পষ্ট৷ বস্তুত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং যোগী আদিত্যনাথের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করেছিলেন মমতা৷ তারপরেই যোগীর এই বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

যোগীর এদিনের সাক্ষাৎকার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ লাভ জিহাদের মতো আইন উত্তরপ্রদেশে পাশ করেছে যোগীর সরকার৷ তার আমলে একের পর এক লিঞ্চিংয়ের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে৷ এগুলি কতটা সংবিধানসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা৷ ভারত কখনোই শরিয়ত আইনে চলে না৷ তাহলে হঠাৎ কেন যোগী সেই বিষয়ে কথা বললেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এসব কথা বলে যোগী আসলে মেরুকরণ আরো বাড়াতে চাইছেন৷ তবে বিজেপির বক্তব্য, এই কথাগুলি বলে যোগী কংগ্রেসের ‘তোষণে’র রাজনীতির বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছেন৷ বিজেপি বরাবরই অভিযোগ করে, কংগ্রেস সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করে৷

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)