1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানকে দুষল জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে স্পষ্টতই ইরানের হাত আছে বলে মনে করেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল, এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং বরিস জনসন৷ তবে কূটনৈতিকভাবেই এই সংকট সমাধানের পক্ষে তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/3Q8xI
ছবি: picture-alliance/dpa/Bildfunk/A. Nabil

সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে ইরানের হাত আছে বলে জানিয়েছে জার্মানি, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স৷ তেহরানকে আর কোনো ‘উস্কানিমূলক' কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকারও আহবান জানিয়েছে তারা৷

‘‘আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে ইরানই এই হামলার জন্য দায়ী৷ এর বাইরে আর কোনো ব্যাখ্যা নেই,’’ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷

২০১৫ সালে পরমানু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় এই দেশগুলোর প্রধানরা অবশ্য মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে কূটনীতিই একমাত্র সমাধান৷

‘‘ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুসহ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমঝোতার ফ্রেমওয়ার্ক মেনে নিতে ইরানের জন্য এখনই সময়,'' বিবৃতিতেত তাঁরা আরো বলেন, ‘‘আমরা ইরানকে এমন আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেয়ার এবং নতুন কোনো উস্কানি থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি৷’’

এদিকে ইরানের সাথে অধিকতর উন্নত একটি পরমাণু চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্প আলোচনায় বসতে পারেন বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন৷ এনবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এক্ষেত্রে একজনই ভালো একটি চুক্তিতে পৌছাতে পারেন...আর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ আমি একটি ট্রাম্প চুক্তির আশা করছি৷''

যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ নতুন কোনো পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ২০১৫ সালের চুক্তি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটলো ইউরোপ

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে ভয়াবহ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে৷ এর ফলে দেশটির তেলের সরবরাহ নেমে আসে অর্ধেকে৷ ঘটনার পরপরই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আর সৌদি আরব এই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালানো হয়েছে ইরান অথবা ইরাক থেকে৷ তবে এর পেছনে নিজেদের হাত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইরান৷ তারা বলছে, ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বোমা হামলার কারণে হুতি বিদ্রোহীদের এমন প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে৷  

এবার ইউরোপও ইরানকে দায়ী করায় উপসাগরীয় দেশটির উপর আরো চাপ তৈরি হলো৷

পম্পেওর কৃতজ্ঞতা

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যকে সমর্থন করায় জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ ‘‘সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধগত আচরণ এবং এই অঞ্চল ও সারা বিশ্বে এই ঘটনার প্রভাব নিয়ে স্পষ্ট করে বলায় যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে,’’ এক টুইট বার্তায় এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি কূটনীতি এবং শান্তির পরিবেশ আরো জোরদার করবে৷ আমরা প্রতিটি দেশকেই ইরানের কর্মকাণ্ডের প্রতি এই নিন্দা জ্ঞাপনের আহবান জানাচ্ছি৷'' 

এফএস/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)