হাইকোর্টে মুখ পুড়লো রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে 'সিভিক' প্রশ্ন
১৫ অক্টোবর ২০২৪মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছে ডাক্তারদের সংগঠন। অন্যদিকে এদিনই রেড রোডে হবে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। ফলে সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের তরফে রানি রাসমণি রোডে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। যার অর্থ, পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সকাল থেকে গোটা এলাকা লৌহকপাটে ঘিরে ফেলা হয়।
এরপরেই ডাক্তাররা হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির একটি আবেদন জানায়। বিচারপতি রবিকিশন কপূরের এজলাসে শুরু হয় মামলা। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রশাসন ডাক্তারদের কার্নিভাল আটকাতে পারে না। পুলিশকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুটি কার্নিভালই যাতে হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এরপরেই যে লৌহকপাটগুলি লাগানো হয়েছিল রানি রাসমণিতে, তা খুলে দেওয়া হয়। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ''সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাজ্য সরকার ডাক্তারদের প্রতিবাদ আটকানোর চেষ্টা করেছিল। হাইকোর্টে তা প্রমাণিত হলো।'' বস্তুত, এদিন হাইকোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে। আদালত একথা বার বার বলেছে। এর পরেই দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
সুপ্রিম কোর্টেও এদিন আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি ছিল। শুনানির শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী তিন সদস্যের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সিবিআইয়ের পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তা পড়ে দেখেন। আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে সিবিআই যোগাযোগ রাখছে। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পাশাপাশি এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিভিক ভল্যান্টিয়ার প্রশ্ন
এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেরাজ্য কীভাবে সিভিক ভল্যান্টিয়ার নিয়োগ করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে সিভিক ভল্যান্টিয়ার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিতে হবে আদালতকে। কীভাবে সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের নিয়োগ হয়, তাদের যোগ্যতার মানদণ্ড, বেতন-- এই সব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দিতে হবে রাজ্যকে।
বস্তুত, এদিন আদালতে আইনজীবীরা বলেছেন, সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ার ছিলেন। তার বিরুদ্ধেই ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ, যাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হচ্ছে, তারাই অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই প্রশ্নের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারকে ওই নির্দেশ দেয় আদালত।
পাশাপাশি সিবিআইকে টাস্ক ফোর্স নিয়ে কটাক্ষ করেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এদিন আদালতের প্রশ্নের উত্তরে জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্সের শেষ বৈঠক হয়েছিল। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, টাস্কফোর্সের কাজের অগ্রগতিতে তিনি খুশি নন। এরপর টাস্কফোর্সের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
এসজি/জিএইচ (সুপ্রিম কোর্টের শুনানি)