1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হঠাৎ বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ‘বন্ধ'

৩ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে লোকবলসহ সব মালামাল গুটিয়ে নিচ্ছে৷ তবে আন্তর্জাতিক এই ক্রিকেট ভেন্যুর বিষয়ে বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/4ODKu
ছবি: gemeinfrei

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি জানান বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল৷ তবে কেন গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি৷

এর আগে বুধবার দুপুরে ভেন্যুর লোকজনকে বগুড়া থেকে চলে আসার বার্তা দেওয়া হয় জামিলুর রহমানকে৷ তিনি জানান, মোবাইলে ফোনে নির্দেশ দেওয়া হয়, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে থাকা বিসিবির সব মালামাল ঢাকাস্থ মিরপুর স্টেডিয়ামে পাঠিয়ে দিতে৷ একইসঙ্গে বগুড়ায় কর্মরত বিসিবির ১৭ জনকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢাকায় রিপোর্ট করতে বলা হয়৷ যার মধ্যে ভেন্যু ম্যানেজার ছাড়াও আছেন কিউরেটর, সুপারভাইজার, অফিস সহকারী, নৈশ প্রহরী৷ 

 ‘‘নির্দেশ অনুযায়ী স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির  দেওয়া খেলার সব সরঞ্জাম, ফার্নিচার বের করা হয়েছে৷ সেগুলো কাভার্ড ভ্যানে উঠিয়ে আজ সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হবে৷”

জামিলুর রহমান আরও বলেন,  ‘‘আমাদের বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি৷ ধারণা করছি, বগুড়া থেকে ভেন্যু তুলে নেবে বিসিবি৷ 

এ ভেন্যু কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ওয়াই সি এল এর চারদিনের ম্যাচ ছিল শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে৷ 

এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও বগুড়ার ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  ‘‘কোনো সমস্যা থাকলে বিসিবি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হিসেবে আমাকে জানাতে পারত৷ কিন্তু উনারা আমাকে জানাননি৷ যখন চিঠি দেখলাম, আমি বিস্মিত! আমি জানলামই না অথচ জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতি অভিযোগ?”   

ডিসি সাইফুল ইসলামের ভাষ্য,  ‘‘কেন এমন হলো? আমাকে সময় দেওয়া হোক, সব কিছু ঠিক করবো৷ আমাকে সভাপতি হিসেবে জানানো হয়নি৷ আমি বিসিবির সিদ্ধান্তের জবাব দিব৷ অন্তত বগুড়ার ভেন্যু প্রত্যাহার না করা হোক৷”

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাছুদুর রহমান মিলন বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  ‘‘১৬ বছর হলো মাঠটি বিসিবি পরিত্যক্ত রেখেছিল৷ কোনো খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি এখানে৷ কোনো অজুহাতে তারা মাঠটি বর্জন করতে চায়, এটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য, তারা তাই করল৷”

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে ২১ কোটি টাকায় বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে (ফ্লাড-লাইটসহ) উন্নীত করা হয়৷ এ মাঠে আগে থেকেই ভালো মানের পাঁচটি উইকেট (পিচ) রয়েছে৷ 

ওই বছর অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট হয় এখানে৷ পরে আইসিসি থেকে ওয়ান ডে এবং টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় ভেন্যুটি৷ এখানে বাংলাদেশ- শ্রীলংকা টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়৷

এরপর ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকাউন্সিল (আইসিসি) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে৷

একই বছরে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতিও পায়৷ ওই সময় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ান ডে ম্যাচ হয় এই স্টেডিয়ামে৷ 

কিন্তু অজানা কারণে ২০০৬ সালের পর থেকে এ মাঠে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে কোনো খেলা উপভোগ করা দর্শকদের ভাগ্যে জোটেনি৷

তবে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় লীগ, স্থানীয় প্রিমিয়ার ডিভিশন, প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ ও করপোরেট লীগ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এসব ম্যাচের সবগুলোই দিনে অনুষ্ঠিত হয়৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)