স্বাধীনতা দিবসের সমরাস্ত্র প্রদর্শনী

ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের সমরাস্ত্র প্রদর্শনী ২০২৪-এ আর্টিলারির পুরো ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র এবং সরঞ্জাম এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

তুরস্কের তৈরি Argos II-HDT মডেলের অত্যাধুনিক একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত করা হয়েছে। এর অপারেশনাল কভারেজ ১৫০০ কিলোমিটার।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সংযোজিত অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম টাইগার এমএলআরএস প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। এই মিসাইল সিস্টেমটি তুরস্কের তৈরি এবং এর রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।

সমরাস্ত্র প্রদর্শনী ২০২৪-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট কমান্ডোগণ মহড়ায় বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন।

ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে রণাঙ্গনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ট্যাঙ্ক দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এখানে রয়েছে MBT 2000, T-59 G, VT 5-সহ বিভিন্ন মডেলের ট্যাঙ্ক।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী ২০২৪-এর অন্যতম আকর্ষণ ছিল নৌবাহিনীর স্টলগুলো। স্টলগুলোতে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, গোলাবারুদস্ত্রের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে।

নৌবাহিনীর স্টলে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি এবং খনিজ সম্পদ আহরণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশের সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর স্টলগুলোতে দর্শকদের কৌতুহল মেটাতে দায়িত্বরতদের নিরলসভাবে কাজ করতে দেখা যায়।

চীনের তৈরি এফএম-৯০ বা ফায়ার অ্যান্ড গাইডেন্স ভেহিক্যাল ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।

সমরাস্ত্র প্রদর্শনী ২০২৪-এর আয়োজনে শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার (বিবিটি)। গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিমানটি উদ্বোধন করেন৷

রণাঙ্গনে অথবা বিশেষ মিশনের কঠিন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট প্যারাকমান্ডোরা কিভাবে টিকে থাকবে, তা প্রদর্শনের জন্য প্রদর্শনীতে সার্ভাইভাল ভিলেজ তৈরি করা হয়।

সমরাস্ত্র প্রদর্শনী ২০২৪-এ বাংলাদেশের তৈরি রাইফেল, ট্যাঙ্ক, অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়।

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিনই ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসে।

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য Special Purpose Insert/Extract (SPIE) ক্রেনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ অভিজ্ঞতা নিতে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধবিমানের ককপিটে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে শুরু থেকেই দেখা যায় দর্শকদের ভিড়।