1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমেন মিত্র প্রয়াত

৩০ জুলাই ২০২০

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রয়াত। তিনি দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন, একবার সাংসদ হয়েছিলেন। অনেকটা সময় ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন।

https://p.dw.com/p/3g9Jl
ছবি: DW/P. Samanta

দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বুধবার গভীর রাতে মারা গেলেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। পুরনো পেসমেকার বদল করার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে আগে ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল। অবস্থা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।

সোমেন মিত্র ছিলেন বর্ণময় রাজনীতিক। আগে রাজ্য কংগ্রেসে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী ছিল। প্রণব মুখোপাধ্যায়, বরকত গনি খান, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি গোষ্ঠী ছিল প্রধান। সোমেন ছিলেন বরকত-গোষ্ঠীতে। কথা কম বলতেন। সুরসিক ছিলেন। সুখাদ্যের প্রতি টান ছিল বরাবর। কিন্তু সংগঠন অসাধারণ বুঝতেন। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ছিল প্রচুর। বিশেষ করে যুবদের মধ্যে।

বরকত গনি খান তখন কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী। তিনি মালদহের জন্য প্রচুর কাজ করছেন। পশ্চিমবঙ্গের অন্য জায়গাতেও কাজ করছেন। সে সময় তো বটেই, তারপরেও বহু লোককে সোমেন সাহায্য করেছেন। চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। অনুগামীরা তাঁকে ডাকতেন ছোড়দা বলে।

আগে মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে থাকতেন সোমেন। তাঁর বাড়ি গমগম করত লোকজনের ভিড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেস ছাড়েন ও আলাদা দল গঠন করেন, তখন সোমেনই রাজ্য সভাপতি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তখন মমতার বিরোধ তুঙ্গে। পরে কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিয়ে তিনি সভাপতির পদ ছাড়েন। ২০০৭-০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল কংগ্রেস গঠন করেন। তাতে সাফল্য পাননি। তারপর একসময়ের বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০৯ সালে সাংসদ হন। ২০১৪-তে আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোটের পক্ষে ছিলেন। 

চার বছর পরে আবার রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পান। তাঁর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের একটা যুগের অবসান হলো। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী সহ সব কংগ্রেস নেতা। অধীর চৌধুরীকে হাত ধরে কংগ্রেসে নিয়ে এসেছিলেন সোমেন। তাঁকে বিধায়ক, সাংসদ করেছেন। সোমেনের মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে অধীর বলেছেন, ''আমি আমার অভিভাবককে হারালাম।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)