1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের হুমকি এর্দোয়ানের

২৯ অক্টোবর ২০২০

উত্তর সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ন্যায্য কারণ আছে বলে জানিয়ে দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান।

https://p.dw.com/p/3kZzh
ছবি: Reuters/PPO/M. Cetinmuhurdar

সিরিয়া সীমান্তে সশস্ত্র কুর্দিদের না সরালে সেখানে সামরিক অভিযান করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। পার্লামেন্টে নিজের দলের এমপিদের কাছে ভাষণ দিতে গিয়ে এর্দোয়ান জানিয়েছেন, সম্প্রতি তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের অধিকারে থাকা ইদলিবে বোমা ফেলেছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়া ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে চায় না। 

এর্দোয়ান সরাসরি জানিয়েছেন, ''আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, সব সন্ত্রাসবাদীদের সরিয়ে দেয়া হবে। তা না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার ন্যায্য অধিকার আমাদেরও আছে। আমরা তার তাগিদও অনুভব করছি।''

কয়েক দিন আগেই তুরস্কে ঢুকে পড়েছিল দুই সশস্ত্র কুর্দি। সীমান্ত প্রদেশে পুলিশের তাড়া খেয়ে একজন আত্মঘাতী বোমায় নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। আরেকজনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পরেই এর্দোয়ান হুমকি দিলেন।

গত সোমবার সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্মির প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা ফেলেছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। এই বিমান হানায় ৩৫ জন মারা গেছেন। সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা এখনো ইদলিব দখল করে রেখেছে। এই বিদ্রোহীদের মধ্যে ১১টি গোষ্ঠী আছে। তাদের সমর্থন করে তুরস্ক।

সিরিয়ার সেনা এখন ওই এলাকা দখল করতে চাইছে। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে রাশিয়া। এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এর্দোয়ানের হুমকি থেকে পরিষ্কার, উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে। এর্দোয়ান যদি তাঁর হুমকি অনুযায়ী সিরিয়ায় সামরিক অভিযান করেন, তা হলে পরিস্থিতি জটিল হবে। বড় ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনাও বাড়বে। ২০১৬ থেকে তুরস্ক তিনবার উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় কুর্দিদের হঠাতে অভিযান চালিয়েছে। গত বছরও তারা সেনা পাঠিয়েছিল। পরে অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে আলাদা চুক্তি হয়। তারা কুর্দিদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে। তখন তুরস্ক সেনা প্রত্যাহার করে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)