1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় বিমানহানা ইসরায়েলের

৪ আগস্ট ২০২০

উত্তেজনা ছিলই। এ বার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলো সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্তে। সিরিয়ায় এয়ারস্ট্রাইক করল ইসরায়েল।

https://p.dw.com/p/3gMxV
ছবি: Getty Images/AFP/A. Schalit

কার্যত যুদ্ধের চেহারা নিয়েছে সিরিয়া-লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত। সোমবার সিরিয়ার বেশ কিছু সেনা কাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক বিমানহানা চালায় ইসরায়েল। হেলিকপ্টার থেকেও আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি। ইসরায়েল সরকারি ভাবে বিমানহানার কথা স্বীকার করেছে। অন্য দিকে সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম সানা জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান সিরিয়ার সীমান্তে ঢোকার পরেই অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল ব্যবহার করেছে সিরিয়ার সৈন্য। রাজধানী দামাস্কাসের কাছে সেনা ছাউনিতে আক্রমণের কথাও তারা জানিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর মেলেনি।

উত্তেজনা শুরু হয়েছিল জুলাই মাসেই। সিরিয়া অভিযোগ করেছিল তাদের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে, মিসাইল হামলার কথা স্বীকার করেনি ইসরায়েল। এরপর দিন কয়েক আগে লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলের সৈন্য এবং হেজবুল যোদ্ধারা। ইসরায়েল অভিযোগ করে, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ওই যোদ্ধারা। সীমান্তের ব্লু লাইন পেরনোর পরেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পাল্টা গুলি চালায় হেজবুলও। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের মৃত্যু হয়। এখানেই শেষ নয়। ইসরায়েলের অভিযোগ, গোলান সীমান্তে রোববার ফের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে সিরিয়া। দুই দেশের কাঁটাতারের কাছে বোমা রাখার চেষ্টা করছিল সিরিয়ার কয়েকজন ব্যক্তি। ইসরায়েল সেনা তাঁদের খতম করে। এই ঘটনার জন্য সিরিয়াকেই দাবি করে ইসরায়েল প্রশাসন। যদিও সিরিয়া এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

হেজবুল্লাহ’র ‘হামলা টানেল’ এ ইসরায়েলের সামরিক অভিযান

ইসরায়েল অবশ্য সোমবার সকালেই হুমকি দিয়েছিল, এর জবাব দেওয়া হবে। সোমবারের এয়ারস্ট্রাইক তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনা কাঠামো, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ সেন্টার এবং অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল লঞ্চার লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। বিমানহানা সফল হয়েছে বলেও ইসরায়েল দাবি করেছে। সিরিয়াও অতরিক্ত বিমানহানার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিরিয়ার বেশ কিছু স্বাধীন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইসরায়েলের এই বিমানহানা সিরিয়া-লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে উত্তেজনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল গোলান অঞ্চলে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে। সিরিয়াও সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। বস্তুত, গোলান অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে। শুধু সিরিয়া নয়, আন্তর্জাতিক মহলের একাংশও মনে করে ইসরায়েল জোর করে গোলান অঞ্চল নিজেদের দখলে রেখেছে। আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও ইসরায়েল কোনও ভাবেই গোলান হাইটস ছাড়তে রাজি নয়। তার মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিতর্ক বাড়াল বলেই অনেকের অভিমত।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)