1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
Unruhen in Bangladesch 05.01.2015
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com

সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনার সুযোগ দেয়ারও৷ ওদিকে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির৷

https://p.dw.com/p/1EWVL

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট-এর পক্ষে মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেন, ‘‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে চলমান নৃশংস সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি এবং দেশে বিদ্যমান অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাসে অগ্নিসংযোগ এবং পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারা, রেল লাইনচ্যুত করার ঘটনায় সাধারণ নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন৷ কেউ কেউ পুড়ে আহত হচ্ছেন৷ আমরা এ ধরনের জঘণ্যতম কাজকে নিন্দা জানাই এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি৷''

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ ধরনের কাজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছে বলে মেরি হার্ফ উল্লেখ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ন্যাক্কারজনক এ ধরনের কাজের কোনো যৌক্তিকতা নেই৷''

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সব বাংলাদেশিই শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের মত প্রকাশের অধিকার রাখেন৷ আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি চালানোর সুযোগ করে দেয়৷ সেই সঙ্গে সব দলের প্রতিও আমরা আহ্বান জানাই যে, তারা যেন তাদের নেতা-কর্মীকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়৷''

ওদিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না নিলে আগামী রবিবার থেকে আরো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে বিএনপি৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ এ কথা জানান৷

পৃথক একটি বিবৃতিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘‘সরকার সর্বমুখী চাপ ও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে তাঁকে জনগণ ও নেতা-কর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সচেষ্ট৷'' তিনি বলেন, ‘‘কোনো অনৈতিক চাপ বা ভীতির মুখে আমি নত হব না৷ যে কোনো পরিস্থিতি বা পরিণতির জন্য আমি তৈরি আছি৷'' দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার এ বিবৃতিটি পাঠান৷

প্রসঙ্গত, অবরোধের মধ্যে গত ৩০শে জানুয়ারি সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেয় বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট৷ এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই আরো ৩৬ ঘণ্টার হরতাল দেয়া হয়৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় এ কর্মসূচি শেষ হয়েছে৷

এদিকে রবিবার বিএনপি জোটের শরীক দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷ ‘নির্বিচারে নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, বাড়িঘর ভাঙচুর, গণগ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের' অভিযোগ তুলে এ সব বন্ধের দাবিতে এ হরতাল ডেকেছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠনটি৷

রবিবার থেকে বিএনপি আরো ‘কঠোর' কর্মসূচিতে যাবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ৷ তাঁর এ কথার ব্যাখ্যা ডয়চে ভেলেকে দিয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান৷ তিনি বলেছেন, ‘‘রবিবার থেকে অবরোধের সঙ্গে টানা সাত দিন বা লাগাতার হরতাল দেয়া হতে পারে৷ অবরোধের সঙ্গে লাগাতার হরতাল যুক্ত হলে আন্দোলন সর্বাত্মক হবে৷'' তিনি জানান, ‘‘গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন৷''

অন্যদিকে সহিংসতা দমনে সরকার আরো কঠোর আইন করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷

সাবেক এই মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর৷ সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে কঠোর আইন আসছে, যাতে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা থাকবে৷ আইনটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে৷ অচিরেই এর বাস্তবায়ন হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

সমমনা দলগুলোকে দিয়ে বিএনপি একাধিক জোট গঠন করেছে

নির্বাচনী প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের, শরিক নিয়ে আন্দোলনে বিএনপি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ
প্রথম পাতায় যান