1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সহিংসতার মাঝেই সম্পন্ন আফগান নির্বাচন

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানে সংসদ নির্বাচনের দিনে একাধিক সহিংসতায় কয়েক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে৷ আহতও কম নয়৷ নিরাপত্তার কারণে বেশকিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল৷ জালভোটের আধিক্যের কথাও জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা৷

https://p.dw.com/p/PFf7
নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৬৩ হাজার সেনা এবং ৫২ হাজার পুলিশছবি: picture alliance/dpa

নির্বাচনের দিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি

সংসদ নির্বাচনের দিনে আফগানিস্তানের অনেক এলাকাতে জঙ্গি হামলার খবর শোনা গেছে৷ সেদেশের উত্তরাঞ্চলের শহর টাখারে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছে দু'জন৷ বাল্খে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমায় প্রাণ দিয়েছে তিন সাধারণ নাগরিক, আহত আরও চারজন৷ বাঘলান প্রদেশে রকেট হামলায় নিহত হয়েছে এক বেসামরিক নাগরিক, আহত হয়েছে পাঁচজন৷ তবে, বাঘলানে আরো হামলার খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স৷ বাঘলানের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে তালেবানের হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে সাতজন৷ কুন্দুসে নির্বাচনের দিনে একাধিক সংঘর্ষে আহত ১৬ নিরাপত্তা কর্মী৷

Flash-Galerie Wahlen in Afghanistan 2010
ভোটগ্রহণছবি: DW

এক হাজার ভোটকেন্দ্র বন্ধ

ছয় হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এক হাজারই বন্ধ ছিল নিরাপত্তার কারণে৷ তবে, ভোটারদের নিরাপত্তায় কিন্তু নিয়োজিত ছিল ৬৩ হাজার সেনা এবং ৫২ হাজার পুলিশ৷ শনিবার সকালে কাবুলের একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে যান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ এসময় তিনি ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সাধারণ আফগানদেরকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবার আহ্বান জানান৷ শনিবার দুপুরের মধ্যেই ৩২ শতাংশ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি সেদেশের নির্বাচন কমিশনের৷ তবে বার্তাসংস্থাগুলোর খবরে জানা যাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুব বেশি ছিলনা৷

জালভোট

নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা চিন্তিত জালভোট নিয়ে৷ নির্বাচনের আগে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় লাখ লাখ জাল ভোটিং কার্ড বিক্রি করা হয়েছে৷ এসব কার্ড পাকিস্তানে ছাপানো হয়েছে বলেও খবর৷ তাই, এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

ফলাফল অক্টোবরে

আফগান সংসদের নিম্নকক্ষের ২৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার৷ আগামী মাসের শুরুর দিকে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ হতে পারে৷ অক্টোবরের শেষ নাগাদ জানা যাবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল৷ তবে, কিছুটা দেরিও হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে৷ কেননা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার অভিযোগ মূল্যায়নে সময়ক্ষেপণের আশঙ্কা রয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার