সহিংসতার জবাব ভোটে দিতে বললেন শলৎস
৯ মে ২০২৪আগামী ৯ই জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির কিছু জায়গায় আঞ্চলিক নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে৷ ফলে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার অভিযান চলছে৷ কিন্তু নেতা-কর্মীদের উপর বেড়ে চলা হামলা ও সার্বিক সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ নিয়ে জার্মানিতে দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় এর উচিত জবাব দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত৷
শলৎস বলেন, ‘‘আমাদের গণতন্ত্রের উপর হামলা আমাদের সবারই দুশ্চিন্তার কারণ৷ আমরা সবাই যে জবাব দিতে পারি, সেটা বেশ সহজ৷ ভোট দিতে যান৷'' জার্মান চ্যান্সেলরের মতে, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের উপর এমন হামলা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ ‘পপুলিস্ট'-রা যেভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জার্মানিকে বেরিয়ে আসার ডাক দিচ্ছে, সে বিষয়েও শলৎস দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ তাঁর মতে, এমন শক্তি রাশিয়া ও চীনকে আদর্শ মনে করে৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, জার্মানিতে প্রতি চারটি চাকুরির মধ্যে একটি রপ্তানির উপর নির্ভরশীল৷ ফলে ইইউ-তে না থাকলে মানুষের হাতে অর্থ অনেক কমে যাবে৷
৪৫ কোটি জনসংখ্যার রাষ্ট্রজোট ইইউ যে কোনো সদস্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি রাজনৈতিক গুরুত্ব পায়৷ এমন ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক পাগলামি' সম্পর্কে উষ্মা প্রকাস করেন শলৎস৷ ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সেই ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তাঁর মতে, এমন কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার লক্ষণ৷ উল্লেখ্য, জার্মানির কট্টর দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের নেতা আলিস ভাইডেল চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ে জার্মানির সদস্যপদ নিয়ে গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন৷ সেইসঙ্গে তিনি ইইউ কমিশনের ক্ষমতা কমানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন৷
গত মঙ্গলবার ড্রেসডেন শহরে শলৎসের এসপিডি দলের এক ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের উপর নৃশংস হামলা দেশে-বিদেশে সংবাদ শিরোনামে উঠেছে৷ নির্বাচনের আগে দলের পোস্টার লাগানোর সময় নেতা-কর্মীদের উপর বেড়ে চলা হামলা মোকাবিলা করতে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলি ভাবনাচিন্তা করছে৷ এমন সহজ কাজের জন্যও নিরাপত্তার খাতিরে একাধিক ব্যক্তি পাঠানোর প্রস্তাব উঠে আসছে৷ রাজনৈতিক নেতাদের প্রচার অভিযানেও নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ চলছে৷ বার্লিনে এসপিডি দলের নেতা ফ্রান্সিস্কা গিফাই এক লাইব্রেরির মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পর বিষয়টি আরো গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সহিংসতার পাশাপাশি প্রচারের সময়ে ঘেরাও করা, গালিগালাজ ও হুমকির ঘটনাও বাড়ছে৷ অনেক রাজনৈতিক নেতা ই-মেল বা অন্যান্য পথে হুমকিরও অভিযোগ করছেন৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)