সহজেই হতে পারে শরণার্থীদের বাড়ি
খুব বড় জায়গা নিয়ে বিশাল বিশাল শরণার্থী শিবির না করলে কি জার্মানি সিরিয়া থেকে আসা এত মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারবে? জার্মানির তরুণ স্থাপত্যবিদরা এমন সব উপায় দেখিয়েছেন যা অনুসরণ করলে কোনো সমস্যাই হবার কথা নয়৷
ছাদের ওপরে শরণার্থী
হানোফার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীরা শরণার্থীদের জন্য কিছু আশ্রয় শিবিরের ডিজাইন করেছেন৷ তারা দেখিয়েছেন ফাঁকা জায়গা থাকলে তো কথাই নেই, না থাকলেও কীভাবে অতি সহজে বিপদগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয় দেয়া যায়৷ ছাদের উপরে ঘর তৈরি করে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার একটা উপায়ও তাঁরা দেখিয়েছেন৷ ছবিতে দেখুন, হানোফারের শিক্ষার্থীরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের অনুষদের ছাদেই শরণার্থী রাখার উপায় দেখিয়েছেন৷
ভাসমান বাড়ি
জার্মানিতে ৮৭০টির মতো বার্জ বা যন্ত্রচালিত বড় নৌকা পড়ে আছে৷ সেগুলোকে শরণার্থীদের আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ বার্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অসুবিধা হলে সৌরবিদ্যুত বা বায়ুশক্তির ব্যবহারে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেতে পারে৷
এক্সপো ২০০০ মেলার পরিত্যক্ত ভবন
২০০০ সালে হানোফারে যে আন্তর্জাতিক মেলা হয়েছিল সেই মেলার ডাচ প্যাভিলিয়নটি এখনো অক্ষত অবস্থায় খালি পড়ে আছে৷ হানোফার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই ভবনেও শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া যেতে পারে৷
শূন্যস্থান পূরণ
কাঠের কাঠামোয় তৈরি এই ভবনের মতো আশ্রয় শিবির যে-কোনো ফাঁকা জায়গাতেই তৈরি করা যেতে পারে৷ যখন শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার দরকার ফুরাবে, তখন এমন ভবন অফিস-আদালত হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে৷
বাগানবাড়িই আশ্রয়স্থল
জার্মানিতে ছোট ছোট জমি ভাড়া দেয়া হয়৷ সেই জমিতে অনেক সৌখিন ব্যক্তিই বাগান-বাড়ি গড়ে তোলেন৷ লাইবনিৎস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন বাড়িকে শরণার্থীদের ছোট ছোট পরিবারের সাময়িক বাড়ি হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁদের যুক্তি, এসব বাড়ি বছরের বেশির ভাগ সময় তো পড়েই থাকে, সুতরাং শরণার্থীদের থাকতে দিলে ভালোই হবে৷
গাড়ির জায়গায় বাড়ি
জার্মানির অধিকাংশ শহরের মাঝখানেই বড় বড় গাড়ি পার্কিং সেন্টার আছে যা বেশির ভাগ সময় প্রায় ফাঁকা থাকে৷ শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এই জায়গাগুলোতেও শরণার্থী শিবির করা যেতে পারে৷ মাটির নীচের এমন পার্কিং সেন্টারের সবচেয়ে নীচ তলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রেখে, বাকি অংশে শরণার্থীদের জায়গা দিলে কোনো সমস্যা হবে না বলেই শিক্ষার্থীদের ধারণা৷