সমুদ্রের অতল গহীনে হারিয়ে যাবে মালদ্বীপ
১৬ জানুয়ারি ২০০৯মালদ্বীপের মূল আকর্ষণ হলো এর সরল শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, আদিম সমুদ্র সৈকত এবং ক্রান্তীয় প্রবাল- প্রাচীর৷ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত এই ছোট্ট দ্বীপে প্রতিবছর অর্ধ কোটির ওপর পর্যটক বেড়াতে আসে৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় অপ্রত্যাশিত সর্বনাশা দূর্যোগ ধেয়ে আসছে মালদ্বীপের ওপর৷ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থার মতে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় মালদ্বীপের অধীন ১,১৯২টি দ্বীপ ডুবে যাবে৷ গৃহহীন হবে ৩৬৯,০০০ জন মানুষ৷
স্থানীয় জনগণের মতে, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের আলামত দেখতে পাচ্ছে৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এই দেশের অর্থনীতি৷ যা নির্ভর করে পর্যটন এবং মৎস ব্যবসার ওপর৷
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে রাজা অশোকার সময়ে এই রাষ্ট্রের বেশীর ভাগ মানুষ ছিল বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী৷ তার আগে তারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিল৷ ১১৫৩ সালে এখানকার মানুষেরা মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করেছিল৷ মালদ্বীপে অনেক জাতি উপনিবেশ গড়ে তুলে৷ ১৫৫৮ সালে পর্তুগীজ, ১৬৬৫ সালে ডাচ জাতি এবং ১৮৮৭ সালে ইংরেজরা এই রাষ্ট্রে উপনিবেশ স্থাপন করে৷ ১৯৬৫ সালে মালদ্বীপ নিজেকে বৃটিশদের উপনিবেশ থেকে মুক্ত করে৷ ১৯৬৮ সালে ‘সালতানাতে মালদ্বীপ' থেকে ‘রিপাবলিক মালদ্বীপে' পরিণত হয়৷