সব দাবি না মানলে কাজে যোগ দেবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা
তাদের অনেকগুলি দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তারা খুশি। তাও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলেন না।
গভীর রাতে ঘোষণা
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তারা জেনারেল বডির বৈঠক করে কাজে যোগ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। গভীর রাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে। তারপর জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেন, তারা কাজে যোগ দেবেন না। তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
দাবিপূরণ না হলে
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাদের সব দাবি মানা হয়নি। তাই তারা কাজে যোগ দেবেন না। আলোচনার পথ খোলা আছে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি থেকে স্পষ্ট, তাদের দাবি ন্যায্য। তাই সব দাবি মানা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে তারা আলোচনা চান।
রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয়া হবে
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে বলা হবে, তারা আবার আলোচনায় বসতে চান। তারা স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর দাবি করছেন। তাছাড়া হাসপাতালে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রেসিডেন্টস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও ছাত্র সংসদ গঠন করার দাবি করছেন। তারা চান, দ্রুত এই অচলাবস্থা কাটুক।
ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে। মঙ্গলবার শুনানির সময়ও তাদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছেন, চিকিৎককে ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে জড়িতরা আরজি করে আছে। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর
জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে কর্মবিরতি নিয়ে একাধিক মত সামনে আসে। কেউ বলেন, কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কাজে যোগ দেয়া উচিত, কেউ বলেন, ওপিডি-তে বসা উচিত, কেউ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। সেজন্য আলোচনা দীর্ঘ হয়েছে। শেষপর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে তিনি বলেন, ''আমি ওদের বুঝিয়েছি, সব খালি করে দিতে পারি না।'' মুখ্যমন্ত্রী এরপর বলেছিলেন, তার আশা, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরবেন।