1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংঘর্ষ-বিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলের হামলা

২৯ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলের সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানো এবং রকেট হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। গাজাতেও লাগাতার হামলা অব্যাহত।

https://p.dw.com/p/4nY1r
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে লেবাননের একাংশ
লেবানের রাস্তাছবি: Hussein Malla/AP Photo/picture alliance

লেবাননের অভিযোগ অন্তত ছয়টি জায়গায় ইসরায়েল হামলা করেছে। উল্লেখ্য, বুধবার সকাল চারটে থেকে হিজবুল্লা এবং ইসরায়েলের সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হয়েছে। গৃহহীন মানুষ ফের ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু তারই মধ্যে ইসরায়েলের হামলা চুক্তি-বিরুদ্ধ বলে দাবি করেছে লেবানন।

ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে তারা গুলি চালিয়েছে এবং রকেট ছুঁড়েছে কারণ, সেখানে সন্দেহভাজনদের দেখা গেছিল। দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লা ঘাঁটিতে আক্রমণ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। বস্তুত, ইসরায়েলের সেনা একটি পোস্ট করে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। সে সময় যেন কোনো ব্যক্তি বাইরে বার না হন। ওই সময় হিজবুল্লার ঘাঁটিতে আক্রমণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। লেবাননের সেনা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে। অ্যামেরিকা এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লা এবং ইসরায়েলের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ৬০দিনের মধ্যে ইসরায়েলের সেনাকে লেবানন ছেড়ে চলে যেতে হবে। লেবাননের সেনা হিজবুল্লা অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে মোতায়েন থাকবে। কোনোপক্ষই অন্যপক্ষের উপর আক্রমণ চালাবে না।

গাজায় আক্রমণ

মধ্য গাজায় বৃহস্পতিবার লাগাতার আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। একের পর এক বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের সংবাদসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউসিরাট উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বহু মানুষ সেখানে আহত হয়েছেন।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় একাধিক জায়গায় বৃহস্পতিবার আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তারা ঠিক মতো খাবার পর্যন্ত পাচ্ছেন না। তারই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে তারা বলেছেন, লেবাননের মতো গাজাতেও সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হোক। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার একাধিক জায়গায় প্রবল খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। তাদের কাছে ওষুধও পৌঁছাচ্ছে না।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার একাধিক জায়গা এখনো বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সেখানে জাতিসংঘের ত্রাণও পৌঁছাচ্ছে না। ওই অঞ্চলে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার মানুষ আটকে আছেন। প্রবল খাদ্য সংকটে ভুগছেন তারা। জাতিসংঘের দাবি, গত কয়েক মাসে সেখানে তারা ৯১ বার যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু ৮২ বার তাদের আটকে দিয়েছে ইসরায়েলের সেনা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)