1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ প্রহরেও চুক্তিসহ ব্রেক্সিট সম্ভব'

১১ অক্টোবর ২০১৯

আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত বোঝাপড়ার আশা কিছুটা বেড়ে গেছে৷ আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিসহ ব্রেক্সিট কার্যকর করতে কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3R768
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর
ছবি: picture-alliance/empics

যখন প্রায় সবাই কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছে, তখনও চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট কার্যকর করার সম্ভাবনার উল্লেখ করলেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর৷ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন৷ তাঁর মতে, ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করতে বদ্ধপরিকর৷ তবে বিতর্কিত বিষয়গুলিতে কিছু আপোশের ইঙ্গিত দিলেও সম্ভাব্য সমঝোতার রূপরেখা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানান নি আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিষয়গুলি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, বর্তমান জটিলতা কাটাতে আয়ারল্যান্ডের সম্মতি ছাড়া ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে কোনোরকম বোঝাপড়া সম্ভব নয়৷

শুক্রবার ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে-র সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ আগামী সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য সব পক্ষের উপর চাপ বাড়ছে৷ এখনো পর্যন্ত ব্রিটেন যে সব প্রস্তাব পেশ করেছে, তার ভিত্তিতে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ইইউ৷ তবে আইরিশ সীমান্ত সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করতে এখনো আলোচনা চলছে৷ প্রস্তাবিত ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থার প্রকৃত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প ছাড়া ইইউ কোনো চুক্তিতে আগ্রহী নয়৷

প্রায় ৩ বছর ধরে যা সম্ভব হয় নি, মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে তা কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় কোন পক্ষ ছাড় দিয়েছে, সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে লিও ভারাদকর বলেন, এ ক্ষেত্রে ছাড় বা হারজিতের বিষয় বড় কথা নয়৷ জনসন নিজে এই আলোচনা সম্পর্কে নীরব থাকায় বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী জুলিয়ান স্মিথ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য বোঝাপড়া বানচাল করতে সেই প্রদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের হাতে ভেটো শক্তি থাকবে না৷

শেষ পর্যন্ত বরিস জনসন ইইউ-র সঙ্গে রফা করতে পারলেও ব্রিটেনের সংসদ সেই চুক্তি অনুমোদন করবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে৷ জনসনের পূর্বসূরি টেরেসা মে তিন-তিন বার চেষ্টা করেও সংসদের অনুমোদন আদায় করতে পারেন নি৷ ইইউ ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে নারাজ৷

আগামী রবিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ আগামী সপ্তাহের ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আলোচনায় বসছেন৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কুপ্রভাব যতটা সম্ভব সীমিত রাখার লক্ষ্যে দুই নেতা উদ্যোগ নেবেন বলে জানানো হয়েছে৷ তবে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে বোঝাপড়া তরান্বিত করতে তাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন৷ মাক্রোঁ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বোঝাপড়া সম্ভব না হলে ব্রিটেনকে সেই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)